সুলতান এরদোয়ানের হাঙ্গেরি জয়!

নিহার মামদুহ

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানকে সুলতানে বলে সম্বোধন করেন অনেকে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুরস্কের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের যে চেষ্টা করছেন তার জন্যই তাকে সুলতান বলা হয়। ইতোমধ্যে তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিষ্ঠার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউরোপ।

গতকাল মঙ্গলবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হাঙ্গেরিতে তুর্কি আমলে নির্মিত একটি সমাধি সৌধের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেছেন।  গুলবাবা নামক সৌধটি হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে অবস্থিত।

এ সময় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বানও উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, আমরা এ সৌধকে নিছক একটি ধ্বংসাশেষ হিসেবে ফেলে রাখতে চাই না যা আমাদের অভিন্ন ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। গুলবাবা অতীতের তুলনায় এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তুর্কি প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যে অনেকেই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন খুঁজে পাচ্ছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তুর্কি শাসনামলের একটি সৌধ সংস্কারের উদ্বোধনকে অনেকেই সুলতান এরদোয়ানের হাঙ্গেরি জয় হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।

গুলবাবা তুরস্কের একজন আধ্যাত্মিক কবি ও সুলতান সোলায়মানের সফর সঙ্গী ছিলেন। তিনি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের পর ইউরোপের বিরুদ্ধে একাধিক  যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গুলবাবাকে একজন মানবিক কবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

কবি গুলবাবার সমাধি ১৫৪৩ থেকে ১৫৪৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়। মনে করা হয়, মধ্য ইউরোপে তুর্কি শাসনের যে কয়টি নিদর্শন টিকে আছে গুলবাবা সৌধ তার অন্যতম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ধ্বংস করা হয়।

১৯৬৩ সালে হাঙ্গেরি সরকার এর প্রাথমিক সংস্কার করে তা একটি জাদুঘরে পরিণত করে। ২০১৪ সালে তুর্কি সরকার হাঙ্গেরির সঙ্গে একটি সাংস্কৃতিক চুক্তি করে। যার আওতায় এখন সৌধের পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তবে অতি ডানপন্থী রাজনৈতিকরা এর বিরোধিতা করছে। তারা এ সৌধকে তুর্কি উপনিবেশের প্রতীক মনে করে।

উল্লেখ্য, তুর্কি প্রেসিডেন্ট দুই দিনের সফরে হাঙ্গেরিতে রয়েছেন। তিনি দেশটির সরকারের সঙ্গে আঞ্চলিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করবেন।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ

পূর্ববর্তি সংবাদমেলবোর্নের ইসলামি স্কুলগুলো দ্বীন শেখাচ্ছে শিশুদের
পরবর্তি সংবাদইরাকি জলাভূমি শুকিয়ে মরুভূমি