আল্লামা শাহ আহমদ শফির নেতৃত্বে উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ আছে এবং তার নেতৃত্বের ব্যাপারে কোনো ভিন্নমত নেই বলে দাবি করেছে কওমি ধারার সম্মিলিত শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে বোর্ডটি।
সম্প্রতি হাটহাজারী মাদরাসার এক অনুষ্ঠানে আল্লামা আহমদ শফীর দেয়া এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সে প্রেক্ষিতেই হাইয়াতুল উলয়ার পক্ষ থেকে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত ১ অক্টোবর হাটহাজারী মাদরাসায় চট্টগ্রাম জেলা বেফাক কর্তৃক আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির মিডিয়া যে বিতর্ক সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীন ৬ বোর্ড, বাংলাদেশের সকল কওমি মাদরাসা, মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ এবং উলামায়ে কেরাম, ছাত্রবৃন্দ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।
সরকার কর্তৃক কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদের মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি) সমমান প্রদানের বিষয়টি গোষ্ঠীবিশেষ ভালভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে তারাই আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
সরকার থেকে টাকা নেয়ার যেসব উদ্ভট গল্প উপস্থাপন করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়, কওমি মাদরাসাসমূহ মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয় এ কথা সকলেরই জানা। তাই কারো অর্থ সাহায্যের কথা মাইকে প্রকাশ করা দোষের কিছু নয়। বরং মাইকে প্রকাশ করাই প্রমাণ করে এ ধরনের অর্থ সাহায্যের পেছনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য নেই।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে জড়িয়ে যে সব প্রোপাগান্ডা চালানো ও মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে, আল-হাইআতুল উলয়া এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এসব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে এ সব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন ৬ বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ।
