জীবিত খাশোগির চেয়ে নিহত খাশোগি সৌদি সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : সৌদি আরবের সরকারের কঠোর সমালোচনাকারী ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগির সন্দেহজনক হত্যাকাণ্ডের ত্রিমুখী কূটনৈতিক সংকটে পড়েছে সৌদি আরবের সরকার।

অন্যদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৫ ব্যক্তির নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে তুরস্কের একটি জাতীয় দৈনিক ‘ডেইলি সাবাহ’ পত্রিকা।

পত্রিকাটি দাবি করছে ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে সিনেমা স্টাইলে হত্যা করা হয় এবং হত্যার পরপর এই ব্যক্তিরা তুরস্ক ছেড়ে চলে যায়। ওই ব্যক্তিরা দুটি ব্যক্তিগত বিমানে করে রিয়াদ থেকে ইস্তাম্বুলে আসে।

গত ২ অক্টোবর যেদিন খাশোগি সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন একই দিন তারাও সেখানে প্রবেশ করে। এসব ব্যক্তি কনস্যুলেটে যাওয়ার আগে নিকটবর্তী দুটি আন্তর্জাতিক হোটেলে ওঠেন। কনস্যুলেটের অপারেশন শেষ করে ওইদিনই তারা তুরস্ক ত্যাগ করেন।

ডেইলি সাবাহ-তে প্রকাশিত খাশোগির সম্ভাব্য হত্যাকারীদের ছবি।

সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত বিশেষ ইউনিটের সদস্য। এদের একজন সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান বলেও ওই সূত্রটি জানিয়েছে।

অন্যদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরিমি হান্ট লন্ডনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন এবং নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশোগির বিষয়ে অবিলম্বে যথোপযুক্ত জবাব চেয়েছেন।

এরপর তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আয-জোবায়েরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং খাশোগির নিখোঁজের ঘটনায় রিয়াদকে সতর্ক করেন।

বিশ্লেষকগণ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, জীবিত জামাল খাশোগি সৌদি আরবের একজন মধ্যম স্তরের সমালোচক ছিলেন। কিন্তু সৌদি সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিলেন না।কিন্তু নিহত খাশোগি সৌদি আরবের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা যায়, প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান এই প্রথম বড় কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন।

সৌদি সরকারের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও সাংবাদিক খাশোগির প্রশ্নে সৌদি আরবের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ঘটনা ‘মারাত্মক অবস্থা’ বর্ণনা করে তার সন্তোষজনক উত্তর চেয়েছেন।

অন্যদিকে লেবানিজ আমেরিকান নিরাপত্তা বিশ্লেষক আসাদ আবু খলিল এ ঘটনার পেছনে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছেন। আর পুরো ঘটনার পেছনে মিসর, সৌদি আরব ও ইসরাইল জড়িত বলে দাবি করেছেন।

তথ্যসূত্র : ডেইলি সাবাহ ও মিডল ইস্ট মনিটর

পূর্ববর্তি সংবাদহিন্দু-মুসলিম বন্ধুত্বের ঐতিহ্যেও রক্ষা পাচ্ছে না মিও মুসলিমরা
পরবর্তি সংবাদঅন্য ধর্মের উৎসবে যে কারণে মুসলমানরা একাত্ম হবেন না