মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ ।।
পড়ন্ত বিকেল—
লোকারণ্যে একাকীত্বের বীণা
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ;— মন খারাপ বৈকি!
মাঝেমধ্যে মেঘ সরে গিয়ে সূর্যটা তার অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছিলো— কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে; তেমনি কেউ এলে অনাবশ্যকের হাসিতে ঠোঁটদুটি মেলে ধরা, তাতে চোখের কোণে খুশির অনুপস্থিত চিহ্ণ কারো দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা না।
অস্তিত্বকে জানান দেওয়া।
আকাশের দিকে তাকালে যেনো চোখাচোখি হতেই সূর্যটা আমার দিকে তাকিয়ে খানিকটা হেসে নিলো;
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম সেই হাসিতে চাপা বিদ্রুপ লুকোনো ছিলো। কিছুটা প্রহসনও যে দেখতে পাইনি তা-ই বা অস্বীকার করি কী করে!
পরাজিতের মতো চোখ নামিয়ে নিয়েছিলাম সেদিন। তবু তাদেরই জিত হোক; যারা জিততে ভালোবাসে। যাদের জিতে যাওয়ার অধিকার কিংবা অভিলাষে ঠাসা এক মন।
ভালোবাসি তাদের জিত৷
হালকা মেঘ জড়ো হতে হতে ভীষণ কালো অন্ধকারে ছেয়ে গেলো চারদিক। সময়ের সন্ধ্যে নামার আগেই প্রকৃতিতে সন্ধ্যে নেমে এলো। সেই সন্ধ্যের ম্লান ধূসরতা ভেদ করে কখনও আর সূর্যকে হাসতে দেখিনি।
এক অনিচ্ছাকৃত সন্ধ্যে কেড়ে নিতে পারে জীবনের সমস্ত সকাল, দুপুর, বিকেল কিংবা রাতটুকুন। জীবনজুড়ে থাকে কেবল সন্ধ্যের অধিকার, সন্ধ্যের গোটা বিরাজ।
এক পড়ন্ত বিকেলে নেমে আসা অন্ধকার; আলো- আঁধারির অস্পষ্ট সন্ধ্যা নেমেছিলো জীবনে৷
তবুও জীবনে আলো জ্বেলে যাই, পথ খুঁজে পাবো তাই৷
সে আলোর নেই যে অন্ত কোথাও