ইস্তাম্বুলে চালু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। বিশালকায় এ বিমানবন্দর উদ্বোধন হতে পারে এ মাসেই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমনই সম্ভাবনা জানালেন তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রী আহমেদ আরসলান।

২৯ অক্টোবর থেকে নতুন এ বিমানবন্দরটি চালু হলে ইস্তাম্বুল বিশ্বব্যাপী বিমান ট্রাফিকের কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান।

তবে দেশটির একটি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে এ নতুন বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালু হতে পারে। এর আগে ইস্তাম্বুল আতাতুর্ক বিমানবন্দরের সঙ্গে এটার সমন্বয় করা হবে। তবে স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় পুরোপুরিভাবে চালু করতে ২০১৯ পর্যন্ত সময় ধরে রাখা হয়েছে।

নতুন এ বিমানবন্দরটির জেনারেল ম্যানেজার ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) এইচ কাদরি সামসোনলু বলেন,  নতুন বিমানবন্দরে সবকিছু চালু করা হলে এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান ট্রাফিক। কেননা, বিশ্বব্যাপী ৪৫ কিলোমিটারের বেশি এখনও কোনো বিমানবন্দর প্রসারিত করা হয়নি। যা এটিই প্রথম।িএ

ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ বিলিয়ন তুর্কি লিরা (প্রায় পৌনে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যা বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ২৭৩ কোটিরও বেশি। প্রতি বছর ৯০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বিমাবন্দরটি।

বিমানবন্দরের  একটি রানওয়ে হবে ৩.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬০ মিটার প্রস্থ এবং আরেকটি রানওয়ে হবে ৪.১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৬০ মিটার প্রস্থ। দ্রুত কাজ শেষ করতে বর্তমানে ৩১ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। বিমানবন্দরটিতে ৩০০ যাত্রীর ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ইলাভেটর স্থাপন করা হচ্ছে।

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯২৩ সালে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়। দেশটির প্রধান শহর ইস্তাম্বুল পূর্বে কন্সটান্টিনোপল বাইজান্টিয়াম নামে পরিচিত ছিল। উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এ শহর (১৪৫৩ সালে)। প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পর থেকে শহরটি তুরস্কের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলই ছিল তুরস্কের রাজধানী। তুরস্কের বৃহত্তম এ শহরে ১২.৮ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন।

সর্বপ্রথম ১৯২৪ সালে ইস্তাম্বুলে কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় এর নাম ছিল ইয়াসিলকয় বিমানবন্দর। ১৯৮০ সালে এটি মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সম্মানার্থে ইস্তাম্বুল আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে নামকরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত এটি তুরস্কের বিমান পরিবহনের কেন্দ্রস্থল।

২০১৭ সালে সাবিহা গোকেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করা হয়। সাবিহা গোকেন ছিলেন আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের পালিত কন্যা ও তুরস্কের যুদ্ধবিমানের প্রথম নারী পাইলট।

পূর্ববর্তি সংবাদকিছু নীতিহীন লোক গণতন্ত্রের কথা বলে : তোফায়েল আহমেদ
পরবর্তি সংবাদগল্প : আতিকুলের ব্যাগে ছিল লাল চুড়ি