গান বাজানো নিয়ে সম্মিলিত জোটের মহাসমাবেশে কী হয়েছিলো?

আবরার আবদুল্লাহ ।।

আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জোটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ জোটের শরিক কয়েকটি ইসলামি দলও অংশগ্রহণ করে।

অভিযোগ উঠেছে, মহাসমাবেশে গান বাজানো নিয়ে ইসলামি দলগুলোর নেতাকর্মীদের সাথে জাতীয় পার্টির কর্মীদের হট্টগোল ও হাহাহাতি হয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা সাউন্ড সিস্টেমে আঘাত করেন।

ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘হাতাহাতির সংবাদটা বাড়াবাড়ি। তবে হট্টগোল হয়েছে সত্য।’

ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা যখন মাঠে প্রবেশ করে তখন বাদ্যসহ একটি গান পরিবেশিত হচ্ছিলো। আমাদের নেতাকর্মীরা তা থামানোর জন্য আওয়াজ দেন। কিন্তু মঞ্চ দূরে হওয়ায় আওয়াজ পৌঁছাচ্ছিলো না। তাই কয়েকজন কর্মী তাদের হাতে থাকা পানির বোতল ও প্লেকার্ড সাউন্ড বক্সের দিকে ছুড়ে মারেন।’

মাওলানা আমিন মনে করেন গান বন্ধ করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তার দায়িত্বপালন করেছে।

তবে এ নিয়ে জোটের অন্যান্য সঙ্গীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে এই মজলিস নেতা বলেন, ‘না, কেমন কিছু হয়নি। ঘটনার পরেই আমরা মঞ্চে উঠেছি। আমরা আন্তরিক অভিনন্দন পেয়েছি।’

‘বরং আমাদের মনে হয়েছে, তারা আমাদের মনোভব বুঝতে পেরেছে এবং তা গ্রহণও করেছে। না হলে পরে ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশন করতো না।’-বলেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।

সম্মিলিত জোটের সমাবেশের আজকের বিবাদটি বাহ্যিক বিচারে সামান্য হলেও এর তাত্ত্বিক গুরুত্ব আছে বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবিদ আবু আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, এই ক্ষুদ্র ঘটনাটি বুঝিয়ে দিলো উভয়পক্ষের মাঝে সাংস্কৃতিক দূরত্বটা এড়িয়ে যাওয়ার মতো না। তাই ইসলামি আদর্শ লালন করেন এমন দলের উচিৎ অন্য ভাবাদর্শের দলের সঙ্গে জোট করার আগে পড়ে বিষয়গুলো সচেতনভাবে ভেবে নেয়া।

মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে এই বিব্রতকর অবস্থার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট হওয়ার পর এটাই প্রথম যৌথ সমাবেশ। আমরা এ বিষয়ে পরবর্তীতে কথা বলবো ভাবছি। আশা করি, তখন আর সমস্যা হবে না।

পূর্ববর্তি সংবাদকে হচ্ছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পরবর্তী আমির
পরবর্তি সংবাদগাজা সীমান্তে ইসরাইলি হামলায় ১৩০ ফিলিস্তিনি আহত