ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াতে নতুন কৌশল বিজেপির

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। গোরক্ষা, ঘরওয়াপসি, লাভ জিহাদসহ বহু বিতর্কিত বিষয়ের অবতারণা করে সমাজে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা। যার অধিকাংশই হিংসাত্মক ও ভিত্তিহীন। সে ধারায় নতুন করে সংযুক্ত হলো অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনা।

গত শুক্রবার সেখানে রাবণ বধ দেখার সময় ৬০ জন সাধারণ মানুষ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় সমপরিমাণ মানুষ। এ ঘটনার ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করে মুসলমানের উপর।

https://www.tdnbangla.com/wp-content/uploads/2018/10/Post-the-picture-of-the-prayer-on-the-railway-line-BJPs-communal-politics-about-Amritsar-train-accident.jpg

অমতসরের ঘটনার পর হিন্দুত্ববাদী সুদর্শন নিউজ চ্যানেলের প্রধান সুরেশ চাভাঙ্কে ট্যুইট করেছেন যে, যদি (মুসলমানদের) নামাজের জন্য ট্রেন দাঁড়িয়ে যেতে পারে তাহলে (হিন্দুদের) রাবণ-দহনের জন্য কেন ট্রেন দাঁড়াবেনা?

বঙ্গ বিজেপি সমর্থকদের কিছু ফেসবুক পেজ ও ‘দিলীপ ঘোষ সাপোর্টার্স’ নামের একটি পেজ থেকেও একই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

পোস্টগুলো কিছু ফটো ব্যবহার করে বলা হয়েছে নামাজের জন্য মুসলমানেরা একটি প্যাসেঞ্জারসহ চলন্ত ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

ফটোগুলো হলো নতুন দিল্লি রেল স্টেশন ইয়ার্ডের একাংশে জুম্মার নামাজের ছবি। ইয়ার্ডের পাশেই একটি মসজিদ আছে যেটি অনেক দশক বা একশ বছরেরও বেশী পুরানো। এখানে যে অংশে মুসলমানরা নামাজ পড়ে সেখানকার একমুখ বন্ধ ট্র্যাকগুলো নিয়মিত ট্রেন চলাচলে ব্যবহারই হয় না। বরং সেখানে কোচ ও ইঞ্জিন আসে ধোয়ার জন্য।

হিন্দুত্ববাদী ও বিজেপির পোস্ট করা ফটোগুলো ঠিক সেখানেই তোলা। যে ইঞ্জিন বা ট্রেনটি ওখানে দাঁড়িয়ে আছে সেটিও ওখানে বিশ্রাম নেওয়ার বা ধোয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।

দিল্লি স্টেশন ভারতের ব্যস্ততম স্টেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখান থেকে একটি ট্রেন মুসলমানদের নামাজের জন্য ছাড়তে দেরী করছে এমন ঘটনার খবর কখনও শোনা যায়নি।

কিন্তু অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনার পরই বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করে মুসলমানদের ‘তোষণ’ হচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য এধরণের পোস্ট করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের তাতানোর চেষ্টা চলছে।

সূত্র : টিডিএন বাংলা

 

পূর্ববর্তি সংবাদদশম জাতীয় সংসদের বিদায়ী অধিবেশন শুরু
পরবর্তি সংবাদঅনলাইনে নজরদারি বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি আনছে সরকার