ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ভারতের পার্লামেন্টে অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করে আনা ‘নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ‘ বিলের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে আসাম। বিল বাতিলের দাবিতে সেখানে আজ অর্ধ-বেলা হরতাল পালিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধেরও চেষ্টা করে।
আসামের জাতীয়তাবাদী ৪৬টি সংগঠন এ হরতাল পালন করে।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়োগ দেয়ার পরও সহিংসতায় আশঙ্কায় সাধারণ মানুষকেও পথে নামতে দেখা যায়নি। দোকান, বাজার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও ছিল প্রায় বন্ধ।
এই হরতালকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস ও অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)।
তবে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিক্ষোভকালে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছে পুলিশ।
আগামী শীতকালীন অধিবেশনই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি সংসদে পাস করাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই লোকসভায় আনা হয়েছে ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-২০১৬’ এবং আলোচনার জন্য বিলটিকে পাঠানো হয়েছে সংসদের যৌথ কমিটিতে।
ভারতের ১৯৯৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন হলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা সেইসব দেশের হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সিসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হবে না ফলে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেও আর কোন বাধা থাকবে না।
বিজেপি এতে সমর্থন করলেও অধিকাংশ দল বা সংগঠনই এর বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য, ধর্মের ভেদাভেদ না করে বরং বৈধ নথি ছাড়া যারাই ভারতে বসবাস করছে তাদের সকলকেই অনুপ্রবেশকারী হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
মঙ্গলবার কেএমএসএস-এর দারং জেলার সাধারণ সম্পাদক কবীর মন্ডল জানান ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনে কেন্দ্র কয়েক লাখ হিন্দু বাংলাদেশিদের এখানে বসবাসের সুযোগ করে দিতে চাইছে কিন্তু আমরা কেন্দ্রের সেই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবো না।’
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার যদি সংসদে এই বিল পাস করাতে পদক্ষেপ নেয় সেক্ষেত্রে দলীয় সাংসদরা তার বিরোধিতা করবে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের শরিক দল অাসাম গণ পরিষদও এর বিরোধী।
এমন এক প্রেক্ষিতে অাসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বারবারই আশ্বাস দিয়েছেন, অাসামবাসীর অস্তিত্ব সংকটে পড়ুক এমন কোন কাজ তারা করবে না।
