সিলেটে বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেফতার

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের সোবহানীঘাটের বাসা থেকে বিএনপির ১৫-২০ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি করেছে দলটি।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ তাদের আটক করে।

তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

আটকের সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ উপলক্ষে আবুল কাহের শামীমের বাসায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দের সভা চলছিল বলে জানান বিএনপির নেতারা।

এ ছাড়া নগরীর উপশহর থেকে ছয়জন এবং চৌকিদেখী থেকে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞা বুধবার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ ১২ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি কাহের শামীমের বাসায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের সভা চলছিল।
রাত ৮টার দিকে পুলিশ এসে বাসা ঘিরে ফেলে এবং বাসার সামনে থেকে কয়েকজনকে আটক করে।

এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী বাইরে এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চান।

একপর্যায়ে পুলিশ কয়েছ লোদীকেও ধরে গাড়িতে তুলে। পরে ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বাসার বাইরে এলে তাকেও গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ।

পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একসঙ্গে বাসার বাইরে বের হয়ে এলে পুলিশ আটককৃতদের নিয়ে চলে যায়।

জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, বাসায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভা চলছিল। হঠাৎ পুলিশ পুরো বাসা ঘিরে ফেলে। তারা ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও কয়েছ লোদীসহ ১৫-২০ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে।

পুলিশ নেতাকর্মীদের ধরপাকড় চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, উপশহর রোজভিউ হোটেলের সামনে থেকে ছয়জন এবং চৌকিদেখী থেকে আরও চারজনকে পুলিশ আটক করেছে।

পূর্ববর্তি সংবাদখাশোগি হত্যা : ২১ সৌদি নাগরিকের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তি সংবাদসামুদ্রিক অঞ্চলের অবৈধ কাজে প্রতিবেশী দেশের অনেক অপরাধী জড়িত : প্রধানমন্ত্রী