ইসলাম টাইমস ডেস্ক : পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় একটি চক্র ৫ মাদরাসা ছাত্রকে অপহরণ চেষ্টা করেছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু শালিসের মাধ্যমে ঘটনার মূল হোতাকে ছেড়ে দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় স্থানীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে। অপহরণ চেষ্টার শিকার মাদরাসা ছাত্ররা হলেন, চিলাহাটি ইউনিয়নের ভুজারিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে নুরুল হুদা (১৬), একই গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম শিপন (১৯), একই এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে রাসেল (১৬), ফজলুল হকের ছেলে সেলিম হোসেন (১৬) ও বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত আনসারুল ইসলামের ফরহাদ হোসেন (১২)।
স্থানীয়রা জানায়, বড়শশী শেখপাড়া নুরানি তালিমুল কোরআন মাদরাসার ৫ জন শিক্ষার্থীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা করেন ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রহুল আমিন প্রধান (৬৫) ও তার লোকজন।
গত সোমবার রহুল আমিন ঢাকায় পাঠানোর জন্য দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী নাদের এন্টার প্রাইজের একটি বাসে তুলে দেন ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে। গাড়িটি ওই পাঁচ ছাত্রকে নিয়ে ভাউলাগঞ্জ থেকে দেবীগঞ্জ পৌঁছালে ওই ছাত্রদের এক স্বজন বাসের মধ্যে ছাত্রদের দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পরিবারের লোকজন বাস থেকে তাদের নামিয়ে নিয়ে যান।
এর আগেও ওই এলাকা থেকে কয়েকজন কিশোরকে চাকরি নাম করে ঢাকা নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় ওই কিশোররা।
বড়শশী শেখপাড়া নুরানি তালিমুল কোরআন মাদরাসার মুহতামিম ক্বারী মাওলানা এনামুল হক এনাম বলেন, আমাকে বিপদে ফেলার জন্য কাউকে না জানিয়ে আমার পাঁচ ছাত্রকে অপহরণ করে ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা করেন রহুল আমিন প্রধানসহ তার লোকজন। পরে টের পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
