ডা. জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টে হামলা ও ভাংচুর

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুর

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : সাভারে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টের পিএইচএ ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর, লুটপাট, মারধরসহ নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ট্রাস্ট্রের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে। এ সময় ২০১১ সালে ঝালকাঠিতে র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র লিমনের হাত ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

গণস্বাস্থ্য পিএইচএর পরিচালক (নির্মাণ) অনিল কুমার ভৌমিক অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকালে মির্জানগর এলাকায় ১৫ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত পিএইচএ ভবন এবং মহিলা হোস্টেলের অবৈধ মালিকানা দাবি করে ‘কটন টেক্সটাইল ক্রাফটস লিমিটেড’ নামক প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় বহিরাগতরা। এ সময় শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভবনের ভিতর প্রবেশ করে ভাংচুর, মূল্যবান মালামাল লুটপাট, হোস্টেলে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের মারধর ও লাঞ্ছিত এবং গাছপালা কেটে ফেলে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে তাদের বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি পুলিশ।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়েল আইন বিভাগের আহত শিক্ষার্থী লিমন জানান, সকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে বহিরাগত লোকজনের ভিড় দেখেন। সেখানে তার সহপাঠীদের লাঞ্চিত হতে দেখেন। এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙ্গে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার অন্য সহপাঠীদেরও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে পিএইচএ ভবনের প্রধান ফটক ভেঙ্গে নাছির উদ্দিন ও আবু বক্কর নামে দুই ব্যক্তির মালিকানার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সেখানে স্থাপনা তৈরি করতে দেখা গেছে। এর পাশেই বেশ কিছু গাছ কেটে সেখানে প্রাচীর নির্মাণ করছেন তারা। একই সঙ্গে পিএইচএ ভবন এলাকার এক পাশে আমিনুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তির জমির মালিকানার সাইনবোর্ড টানানো দেখা গেছে। তবে পিএইচএ ভবন এলাকায় নাছির উদ্দিন, আবু বক্কর, আমিনুল ইসলামসহ সাইনবোর্ড টানানো অন্য জমির মালিকানা দাবিকারীদের সঙ্গে প্রায় ৪০-৫০ জন বহিরাগত লোকজনকে ঘুরোঘুরি করতে দেখা যায়। তবে তারা কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ষষ্ঠ তলা বিশিষ্ট পিএইচএ ভবন বিশ্ব দরবারে পরিচিত। বিশ্ব পিপলস হেলথ এ্যাসেম্বল (পিএইচএ) সম্মেলনের প্রথম পর্ব বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬শ নাগরিক প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এবছর বাংলাদেশে আবারো চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রায় পনেরশ নাগরিক এই সম্মেলনে গণস্বাস্থ্যের পিএইচএ ভবনে অংশ নেবে।

আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তি সংবাদ‘ইয়াবা যুগে’ বাংলাদেশ, মাদকের বিস্তার ঘটছেই
পরবর্তি সংবাদবই সংগ্রহ : পেয়ে যাই মানিক রতন