‘কিশোরগঞ্জের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইলের শুরার পরামর্শে চলবে’

আমিন আশরাফ ।। কিশোরগঞ্জ থেকে 

কিশোরগঞ্জ উলামা ও তাবলিগি সাথীদের উদ্যোগে আয়োজিত ওজাহাতি জোড় আজ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত স্থানীয় আজিম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

সকালের কুয়াশা ভেদ করে ওজাহাতি জোড়ে উপস্থিত হন ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, জামালপুর, শেরপুর ও গাজীপুরের হাজারো আলেম-উলামা ও তাবলিগি সাথীগণ।

কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ওজাহাতি জোড়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মারকাযুদ্দাওয়াহ আল ইসলামিয়াহ’র আমিনুত-তালিম মাওলানা আবদুল মালেক, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার শায়খুল হাদিস মাওলানা উবাইদুল্লাহ ফারুক, বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা উমর ফারুক, জামিয়া ইমদাদিয়ার শিক্ষক মাওলানা শফীকুর রহমান জালালাবাদী, মাওলানা শামসুল ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির ভাষণে মাওলানা আনোয়ার শাহ বলেন, ‘কিশোরগেঞ্জের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইলের শুরার পরামর্শে চলবে। এখানে অন্য কোনো মত চলবে না।’

মারকাযুদ্দাওয়া আলইসলামিয়ার পরিচালক মাওলানা আবদুল মালেক বলেন, ‘সাদ সাহেবের অনুসারীরা বলছেন, মানুষ হিসেবে সাদ সাহেবের কিছু ভুল হতেই পারে। হ্যাঁ! ভুল তো হতেই পারে। কিন্তু কেউ ভুল করে রোজা অবস্থায় কিছু খেয়ে ফেলা আর ইচ্ছে করে রোজা ভেঙে ফেলা এক কথা নয়। কিছু ভুল মারাত্মক ও ভয়াবহ। এগুলো কখনো মেনে নেয়া  যায় না। তেমনি সাদ সাহেবের ভুলগুলো কুরআন-সুন্নাহবিরোধী। এ ভুলগুলোও মেনে নেওয়া যায় না।’

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘মাওলানা সাদ সাহেব যেন অমুসলিমদের কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। অন্যথায় তাকে আরশাদ মাদানি, সাইদ পালনপুরিসহ সারাবিশ্বের উলামায়ে কেরাম বারবার বলার পরও তিনি কেন কারো কোনো কথা শুনছেন না?’

মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেব বলেন, ‘সাদ সাহেবের উস্তাদ ইবরাহিম দেওলা বলেছেন, সাদ সাহেব একজন প্রতিক্রিয়াশীল লোক। তিনি কারো কথা মানার মতো লোক না।’

জোড়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ফারুক, মাওলানা হোসাইনসহ কিশোরগঞ্জ মারকাজের মুতাওয়াল্লি জনাব মাজহারুল ইসলাম ভূঞা কাঞ্চন, মারকাজের শুরা প্রধান আলী আকবরসহ স্থানীয় উলামা ও তাবলিগি মুরব্বিগণ।

সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে ওজাহাতি জোড়ের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ।

দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে কাকরাইলের বর্ষীয়াণ মুরব্বি মাওলানা যুবায়ের সাহেবের দোয়ার মাধ্যমে ওজাহাতি জোড়ের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

পূর্ববর্তি সংবাদ‘মাদরাসায় শিক্ষিতদের ৭৫ শতাংশ বেকার’?
পরবর্তি সংবাদআগামী কালের সংলাপে সরকার ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে যারা থাকবেন