সিসির দেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে নিকাব!

স্বৈরশাসক আবদুল ফাত্তাহ সিসির দেশ মিশরে এবার নিকাব নিষিদ্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মিশরের সরকার দলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য জনসমাগমের স্থানে নিকাব তথা পুরো মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরিধান নিষিদ্ধের প্রস্তাব পেশ করেছে।

গত ৩ নভেম্বর তারা এ প্রস্তাব পেশ করেছে।

মিসরীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান গাদা আগামি ইতোমধ্যে নিকাব নিষিদ্ধ করে একটি আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করেছেন।

নিকাবকে তারা মিসরীয় জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করছেন। মিসরের সরকারপন্থী মিডিয়াগুলো এ আইনের পক্ষে সাফাই গাইছে। যদিও মিসরের সাধারণ মুসলিম জনগণ এ আইনকে প্রত্যাখান করবে বলেই আশঙ্কা তাদের।

নিকাব নিষিদ্ধ আইনে কোনো নারী জনসমাগমে মুখ ঢেকে রাখলে তাকে ১ হাজার মিসরীয় পাউন্ড (৫৫ ইউএস ডলার) জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কেউ একই অভিযোগে একাধিকবার অভিযুক্ত হলে তাকে দ্বিগুণ অর্থদণ্ড দেয়ার কথাও বলা হয়েছে এই আইনে।

আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য হিসেবে মিসরীয় সংসদ বলছে, এই আইনকে আমরা আধুনিকতার বিস্তার ও চরমপন্থার বিপরীতে একটি আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করতে চাই।

তবে মিসরের সাধারণ মুসলিম জনগণের মধ্যে কুরআন বিরোধী আইন নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা এ আইন প্রত্যাখ্যান করার আহবান জানাবে।

উল্লেখ্য, মিসরের সামরিক শাসক আবদুল ফাত্তাহ সিসি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ও মিসরের প্রথম ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে অন্যায়ভাবে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণ করে। তার ক্ষমতাগ্রহণের পেছনে ইসরাইল ও সৌদি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

পূর্ববর্তি সংবাদদ্বিতীয় বার সংলাপ : থাকতে পারে ঐক্যফ্রন্টের তিনটি চাওয়া
পরবর্তি সংবাদসম্রাট আলমগীরের জন্মের ৪০০ বছর পূর্তি