ইসলামী জোটগুলো এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে : মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়াম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী। তিনি বলেছেন, ইসলামী ঐক্যজোটসহ কয়েকটি ইসলামি দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে যোগ দেয়ার পূর্বে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মাওলানা নেজামী বলেন, ‘ইসলামী জোটগুলো এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ আরো অনেক দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বা সংসদ রেখেই নির্বাচন হওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। আমাদের দেশেও ঐ পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত বলে আমার মনে হয়।’

আজ দুপুরে গণভবনে ইসলামী ঐক্যজোট, মুসলিম লীগ, জাকের পার্টি, সম্মিলিত ইসলামী জোটসহ আরো কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই সংলাপের মাধ্যমে কী দাবি আদায় করতে চাইছে ইসলামী দলগুলো? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী জানান, নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি নিয়ে বিরোধী জোটগুলোর সাথে সরকারের দ্বন্দ্বের সমাধান খোঁজার উদ্দেশ্যে এই সংলাপ।

তবে ‘নির্বাচনকালীন সরকারের যে দাবি বা বিতর্ক তা সমাধানের লক্ষ্যে আইনগত ও সাংবিধানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করা বাঞ্ছনীয়।’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাথে সাথে তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে একটি স্থায়ী আইন করা প্রয়োজন যেন ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় এবিষয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি না হয়।

মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী ইসলামি জোটগুলো এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি করলেও একাধিক ইসলামি সংসদ বহাল রেখে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত নয় বলে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস ইত্যাদি।

পূর্ববর্তি সংবাদমস্কো শান্তি সম্মেলনেও আমন্ত্রণ পেলো তালেবান
পরবর্তি সংবাদবৃহস্পতিবার সংলাপের উপর প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন