সংলাপে দাবি না মানলে রোডমার্চ : মির্জা ফখরুল

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : আগামীকালের সংলাপ সফল না হলে এবং দাবি না মানলে পরদিন (৮ নভেম্বর) রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ। এর পরদিন (৯ নভেম্বর) রাজশাহীতে জনসভা হবে। একে একে খুলনা ও বরিশাল অভিমুখেও রোডমার্চ হবে। মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, জনগণ জেগেছে, জনগণকে রুখার উপায় কারও নেই। জনগণকে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। জেলায় জেলায়, থানায় থানায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। রাস্তা, নৌপথ, রেলপথ বন্ধ করে জনগণকে নিষ্ক্রিয় রাখা যাবে না।

সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের মালিক হিসেবে আপনারা আজ এখানে দাঁড়িয়েছেন। আপনাদেরকে দেশের মালিক ভাবতে হবে। এটা কোনো ব্যক্তির রাষ্ট্র নয়। এদেশে কোনো রাজতন্ত্র নেই, রাজা নেই, মহারাণী নেই। দেশের মালিক ১৬ কোটি জনগণ। সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা দেশে অন্যায় বন্ধ করবো। আমাদের ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোটের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।

বুধবার সংলাপে দাবি মানা না হলে ৮ নভেম্বর রাজশাহী অভিমুখে লংমার্চ ও তফসিল না পেছালে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুকে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

দুপুর ২টার দিকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিএনপির সহযোগী সংগঠন, ঢাকা ও আশপাশের জেলার সাবেক এমপি এবং জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেন।

সমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়। এছাড়া বিএনপি নেতাদের ছবিসম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনও চোখে পড়ে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহীম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের (একাংশ) চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী, এলডিপি মহাসচিব রেদওয়ান আহমদ, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব।

পূর্ববর্তি সংবাদবৃহস্পতিবার সংলাপের উপর প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন
পরবর্তি সংবাদকালিমা লেখা সৌদি পতাকাকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বাংলাদেশি পুরস্কৃত