ওয়ারিস রব্বানী ।।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক পয়লা ইস্টিশন হচ্ছে তফসিল। ৮ নভেম্বর ঘোষণা হবে তফসিল। নির্বাচন কমিশন মোটামুটি অনড়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চেয়েছে তফসিল আরেকটু পরে ঘোষণা হোক। খবরে প্রকাশ, তারা মার্চে নির্বাচন দাবি করেছে দ্বিতীয় দফার সংলাপে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছিল, তাদের দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা হলে তারা নির্বাচন কমিশন অভিমুখে রোডমার্চ করবে। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় হঠাৎ সে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের কথা ছিল। অনুষ্ঠিত সংলাপগুলোর সারসংক্ষেপ এবং সে অনুযায়ী তার অবস্থান তুলে ধরার কথা ছিল। ৭ নভেম্বর রাতে জানানো হয়, সেই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের তারিখ পরে জানানো হবে।
তফসিল ঘোষণায় অনড়তা, রোডমার্চ ও সংবাদ সম্মেলন স্থগিত হওয়া- সব মিলিয়ে একটু নড়চড়, একটু ধাক্কার আলামত। নির্বাচনী প্রথম ইস্টিশনে এই ধাক্কার আলামত, এটি কি ভালো কিছুর সম্ভাবনা? না কি দুই পথে অনড় পথচলার কোনো নতুন লক্ষণ-বোঝা যাচ্ছে না। কিছু দ্বিধা, কিছু অনিশ্চয়তার এই ধাক্কার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশের মানুষ পরের খবর জানতে বারবার চোখ রাখছে খবরের আয়নায়।
অপরদিকে আরেকটি খবর এসেছে। পদত্যাগী চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে আবার দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হয়েছে। পদত্যাগপত্র গ্রহণের আগ পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ খবরটিও কি নির্বাচনী পরিস্থিতির কোনো ভালোমন্দ আলামত বহন করছে? এসব কি সরকারের শক্ত হয়ে ওঠা, না সংলাপের ফলাফল হিসেবে নির্বাচনী পথচলার শুরুতেই সমঝোতার কিছু রেখা খুঁজে দেখার চেষ্টা করা?
যদি এসব কিছুর মধ্যেই সমঝোতার কোনো আলামত লুকিয়ে থাকে তাহলে ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে, শেষ মুহূর্তে তফসিল ঘোষণাও পিছিয়ে যেতে পারে। ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবিত কিছু দাবি মেনে নেওয়া এবং আরো কিছু দাবি মানার জন্য সংলাপের পথ তৈরি হতে পারে। একদিনের কয়েকটি খবর। সবকটিতেই দ্বিধা, অনিশ্চয়তা, সম্ভাবনা, শঙ্কা এবং ধাক্কার আলামত। নির্বাচনের পয়লা ইস্টিশনের এই ধাক্কার ভালোমন্দের দিকে তাই সবার সজাগ চোখ।
