ইসলাম টাইমস ডেস্ক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও অনিশ্চিতপথচলা, দুইবারের অর্জনহীন সংলাপ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো উপায় বের বের না হওয়ার মধ্যেই বিএনপির সামনে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়েছে শরিকদের সঙ্গে নির্বাচনী আসন বন্টনের ইস্যু। বিভিন্ন সূত্র থেকেই এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের কারণে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ভেতরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারক ও জোটের নেতাদের মধ্যেও সংশয়ের তৈরি করেছে। জোটের নেতারা বলছেন, এই মুহূর্তে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলতে চান না তাঁরা। তবে জোটের শরিকদের নিয়ে তাদের পরিকল্পনা তৈরি আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের আগে তারা আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করতে চায় না। এর ভেতরেও জোটের ভেতরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চিন্তা রয়ে গেছে। সম্প্রতি ন্যাপ ও এনডিপির জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণ নির্বাচনে আসন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলো হলো-বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। বাকি দলগুলোর নিবন্ধনই নেই। তাদের দলীয় সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন আছে। নিবন্ধিত কয়েকটি দলেরও সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন আছে। তাই নির্বাচনে গেলে জোটের পক্ষ থেকে নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তাই জোটের প্রধান শরিক বিএনপির ওপর চাপ তৈরি করে ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে তৎপর তারা।
সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সুরাহা করতে না পারলেও বিএনপির ওপর শরিকদের আসন বন্টনের চাপটাকে বিএনপির নেতারা ছোট করে দেখতে পারছেন না। তফসিল ঘোষণার পর শরিকদের পক্ষ থেকে আসন কেন্দ্রিক অভিমান ও নতুন কোনো ভাঙনের ধাক্কা তাদের বিব্রত করতে পারে। তাই আসন বন্টনের এই চ্যালেঞ্জটা সামলাতে তারা সবদিকে অঙ্ক মিলিয়ে চলতে চেষ্টা করছেন।
৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোটের বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা চলতে পারে।
