২৩ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন

২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের তারিখ ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

আজ সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ তারিখ ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি নির্বাচনে ভোট গ্রহণে সীমিত আকারে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার হবে বলে জানান।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ থেকে থাকলে রাজনৈতিকভাবে তা মীমাংসার অনুরোধ জানাই। প্রত্যেক দল একে অপরের প্রতি সহনশীল, সম্মানজনক এবং রাজনীতিসুলভ আচরণ আমি প্রত্যাশা করছি।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চলমান মতপার্থক্য আর বিতর্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন বর্জন করেছিলো দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তাদের পুরনো ২০-দলীয় জোটের মিত্ররা।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন এবং নির্বাচনটিকে দেশে বিদেশে বিতর্কিত হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

অনেক বিশ্লেষকের মতে, নির্বাচন নিয়ে সেবার যে ধরনের সংকট ছিল সেই একই ধরনের সংকটময় পরিস্থিতি এখনো রয়েছে।

বিএনপি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে আসছে গত নির্বাচনের সময় থেকেই।

তবে এবার তারা নতুন গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটের অংশ হিসেবে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছে। জোটের নেতা ড. কামাল হোসেন এখনই তফসিল ঘোষণা না করতে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন।

সিইসি নূরুল হুদা নির্বাচন পরিচালনায় সবার সহযোগিতা, সাহায্য এবং সমর্থন কামনা করেছেন। তিনি আশা করেছেন একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে কমিশন সফল হবে।

তিনি বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রার্থীর সমর্থক ও এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হন বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হন তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষের উপর কঠোর নির্দেশ থাকবে।

পূর্ববর্তি সংবাদআসন বণ্টন বিএনপির আরেক চ্যালেঞ্জ
পরবর্তি সংবাদতফসিল নিয়ে মির্জা ফখরুলের হতাশা প্রকাশ