বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহবান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে এগিয়ে আসছে। আমরা অব্যাহত আলোচনা ও উন্মুক্ত মতবিনিময়কে উৎসাহিত করি, যা অবশ্যই অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। একইসঙ্গে এটি বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা আগামী ২৩ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর এটিই এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম কোনও প্রতিক্রিয়া।

হাডসন ইন্সটিটিউটের থিংক-ট্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অপর্না পান্ডে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত একটি বড় ফ্যাক্ট। আসন্ন নির্বাচনেও এই প্রভাব বিদ্যমান থাকবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের নীতি, আসামের নাগরিক তালিকার মতো ইস্যুগুলো ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের মতামতকে ইতোমধ্যেই প্রভাবিত করেছে। নির্বাচনি প্রচারণাতেও রাজনৈতিক দলগুলো এই ইস্যু ব্যবহার করবে।

অপর্না পান্ডে বলেন, ভারত বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু এটি একটি কষ্টসাধ্য কাজ। তার ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় গেলে নীতিগত ক্ষেত্রে খুব সামান্য পরিবর্তন হবে। যদি বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসে তবে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ব্যাপারে দিল্লিকে প্রস্তুত থাকতে হবে। একইসঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে বেইজিং হয়তো এ অঞ্চলে তার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করবে।’

পূর্ববর্তি সংবাদআওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবে সাকিব-মাশরাফি!
পরবর্তি সংবাদআমেরিকা নিজ দেশে তৈরি করছে নিজের হত্যাকারী