ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিজেপি সরকার যখন দেশে ও দেশের বাইরে সমালোচিত হচ্ছেন তখন ধর্মকে ব্যবহার করে `ঘৃণা’ ছড়ানোর দায়ে ভারতের একজন মুসলিম বিধায়কের নির্বাচন বাতিল করলো কেরালা হাইকোর্ট।
কে এম শাজি নামের এ বিধায়ক ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলীম লীগের প্রধান।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো কেরালায় ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় ধর্মীয় ঘৃণা ছড়িয়েছিলেন। কে এম শাজি অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
নির্বাচন বাতিলের সাথে সাথে করে তাকে ছয় বছরের জন্য কোনও নির্বাচনে দাঁড়াতেও দেওয়া হবে না বলে শুক্রবার জানিয়েছে আদালত। তার আসনে নতুন করে ভোট করার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অবশ্য শাজি রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার কথা বলেছেন।
শাজির বিরোধী প্রার্থী মামলায় অভিযোগ করেছিলেন শাজির কর্মীরা প্রচার চালিয়েছে যে ‘তিনি মুসলমান বলেই তাঁকে ভোট দেওয়া উচিত।’
কিছু প্রচারপত্রও বিলি করা হয়েছিল, যেখানে ‘ইসলামে অবিশ্বাসীদের ভোট না দিতে’ আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তবে কে এম শাজি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোনওদিন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেন নি আমি। তাই যদি করতাম, তাহলে মৌলবাদীদের হুমকির মুখে পড়তাম না আমি। ওই হুমকির কারণে সরকার আমাকে পুলিশী নিরাপত্তা দিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করলে নিশ্চই মৌলবাদীরা আমার ওপরে চটে যেত না!”
শাজির কথায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনে এটা একটা বড় ধাক্কা, তবে তিনি উচ্চতর বেঞ্চে এবং শেষমেশ সুপ্রীম কোর্টে যাবেন এই রায়ের বিরুদ্ধে।
তবে ভারতের নির্বাচনী রাজনীতির ওপরে দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখে যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি, সেই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফমর্স বা এ ডি আর বলছে – ধর্মকে ব্যবহার করা এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর বহু ঘটনা ঘটলেও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সচরাচর নেওয়া হয় না।
ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলীম লীগের কাজকর্ম মূলত দক্ষিণ ভারতের কেরালা পাশ্ববর্তী তামিলনাডু রাজ্যের কিছু অঞ্চলে বিস্তৃত। দলটি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের অংশীদার।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
