আবরার আবদুল্লাহ ।।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন। আজ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের সমঝোতার গুঞ্জন ছিল বেশ আগে থেকেই। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সেই গুঞ্জন সত্যে পরিণত হচ্ছে। কিছুদিন আগে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচনী সমঝোতার ইঙ্গিতও দেন।
ইশতেহার ঘোষণার পর বিভিন্ন গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের ইসলামী ঐক্যজোটের সমঝোতার দাবিও করেছে একাধিকবার। এই বিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোট নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না করলেও গণমাধ্যমের এমন দাবি কখনও অস্বীকার করেনি বা এর প্রতিবাদও করেনি। বরং সরকারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের একাধিক নেতা।
আজ দেশের একটি গণমাধ্যমে ইসলামী ঐক্যজোটের আওয়ামী লীগের সমঝোতা হয়েছে দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের সমঝোতা হয়েছে ৩টি সংসদীয় আসনের ব্যাপারে। যদিও দলটির দাবি চারটি আসন।
আওয়ামী লীগের কাছে ইসলামী ঐক্যজোটের দাবিকৃত আসনগুলো হলো, দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামীর জন্য নরসিংদী-৩, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহর জন্য চট্টগ্রাম-৭, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩-এর মধ্যে যেকোনো একটি, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইনের জন্য কুমিল্লা-১। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৭ ব্যতীত বাকি ৩টি আসন ছাড় দেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে ইসলামী ঐক্যজোট বিজয় নিশ্চিত করতে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে বলেও দাবি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা প্রসঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী গণমাধ্যমটিকে বলেন, ‘ইসলামী ঐক্যজোট ইসলামের নীতি ও আদর্শের রাজনীতি করে। ইসলামের জন্য মঙ্গল হয়, কাজ করা সম্ভব, এমন যেকোনও দলের সঙ্গে সমঝোতায় আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে। এরপরও ঝুঁকি এড়াতে আমরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ আলোচনার করে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
খবরের সত্যতা যাচাই করতে ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ইসলাম টাইমসকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি অস্বীকারও করবো না, আবার হ্যাঁ-ও বলবো না। কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবো।’
সরকারের সাথে আসন বণ্টন নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে নেন।
তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপনাদের সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত বলা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তরের তিনি সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি সত্য হতেও পারে। যা রটে তার কিছু না কিছু ঘটে।’
