হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-এর দাবি : ‘ভোটের রাজনীতিতে সংখ্যালঘুরাই নিয়ামক শক্তি’

‘ভোটের রাজনীতিতে সংখ্যালঘুরাই নিয়ামক শক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-এর সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘দ্বিধাহীনচিত্তে বলতে চাই, দেশের ১২ শতাংশ ভোটারকে উপেক্ষা করে, পাশ কাটিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল ও জোটের ক্ষমতায়ন যেমন সম্ভব নয় তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণও অসম্ভব। কেননা, ভোটের রাজনীতিতে এরাই নিয়ামক শক্তি।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি আমলের মতো ‘রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘু’ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। জাতীয় সংহতি তথা জাতীয় মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার তাগিদে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদের এই অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন আজ বড় বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’

একই সঙ্গে মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গির্জাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনি কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। নির্বাচন কমিশনের কাছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানানো হয়ওই সম্মেলনে।

জাতীয় রাজনীতিতে ইতোমধ্যে এক গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এজন্য সরকার, দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের স্বাগত জানাই। উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গোটা জাতির মতোই আমরা প্রত্যাশা করছি। সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিমচন্দ্র ভৌমিক। এছাড়া সংগঠনটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তি সংবাদনয়া পল্টনে মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষদিনে উৎসবমুখর পরিবেশ
পরবর্তি সংবাদমাহফিলে নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা : কী বলেন ইসলামি চিন্তাবিদরা