আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল ইসলাম বলেছেন, খতিব উবায়দুল হক রহ. ছিলেন বাংলাদেশে মুসলমানদের অভিভাবক। এদেশে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যখনই কোন ষড়যন্ত্র হয়েছে তিনি তার প্রতিবাদ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, খতিব উবায়দুল হক কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। বিশেষত মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সা.-কে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল অত্যন্ত সুদৃঢ়।
আজ শনিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘আল্লামা উবায়দুল হক রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক’ আলোচনা সভায় সভাপতির তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বক্তব্যে আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, আমি আমার জীবনে মরহুম খতীব আল্লামা উবায়দুল হক রহ.-এর মত সর্বদিক থেকে এতো বিচক্ষণ আলেম দেখিনি। তিনি ছিলেন আমাদের আস্থার প্রতীক। আলেমদের ঐক্যের বিষয় তিনি ছিলেন সব সময় সচেষ্ট।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের গভর্নর মিসবাহুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী (ছারছীনা মেজো পীর), মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ডক্টর হারুনুর রশীদ, মাওলানা মাসউদ আহমদ, ইনসাফ সম্পাদক মাহফুজ খন্দকার, মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা খালেদ বিন নূর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, খতীব উবায়দুল হক রহ. সিলেট শহর থেকে প্রায় ৭৪ কিলোমিটার দূরে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বারঠাকুরিতে ১৯২৮ সালের ২ মে, শুক্রবার জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রায় ২৩ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খতীব উবায়দুল হক রহ.। ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
