ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ইউরোপ জুড়ে বাড়ছে মুসলিম বিদ্বেষ। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় সাধারণ জরিপে উঠে এলো ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রবণতা। সেই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৭০ সাল নাগাদ শীর্ষ ধর্মের স্থানে অবস্থান করবে ইসলাম।
২০৭০ সালে বিশ্বের সব থেকে ক্রমর্বধন ধর্ম হবে ইসলাম। শুধু তাই নয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ছাড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যার ৩৫% ভাগের বেশি মানুষ হবে মুসলিম। মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের দাবি- ২০১০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ ছিলো ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু ২০৫০ সালে সেই জায়াগা দখলে নেবে ভারত। সেই সময় দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৩১ কোটি ১০ লাখ। একই সময় ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে কমবে ১৫০% খ্রিস্টান। ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০% হবে মুসলিম। ইউরোপে ২০৫০ সালে প্রতি ৫ জনের এক জন হবে মুসলিম। আর সাব-সাহারা আফ্রিকায় প্রতি ১০ জনে ৪ জন হবে মুসলিম। ব্রিটেনসহ পুরো ইউরোপেই ইসলাম গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে।
নতুন মুসলিমদের বেশিরভাগই হচ্ছে তরুণ। এদের বয়স ২৫-৩০ এর মধ্যে। তাই ভবিষ্যতে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মান্তরিত মুসলিম রবার্ট ম্যাকগাও বলেন, আমেরিকায় ধর্মীয় নীতি বাক্য প্রচারে রবিবারকে গুরুত্ব দেওয় হয়। কিন্তু মুসলিমদের কাছে প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের সবাই একই পরিবারের মত। আমাকে যে তথ্যটি মুসলিম হওয়ার ক্ষেত্রে বেশি উৎসাহিত করেছে সেটা হচ্ছে খ্রিস্টানরা যিশুকেই সকল ক্ষমতার উৎসভাবে। কিন্তু ইসলাম ধর্মে তিনি স্রেফ একজন নবী।
গবেষণা সংস্থাটি বলছে ২০১০ সালে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যার যে অবস্থান সেটা ২০৫০ সালে চলে আসবে প্রায় সমপর্যায়ে। আর ২০৭০ সালে খ্রিস্টানদের টপকে যাবেন মুসলিমরা। পিউ রিচার্স সেন্টারের দাবি এই সময়ের মধ্যে চার কোটি মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করবে ঠিক কিন্তু খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হবে সাড়ে ১০ কোটি। যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্লেষক ডেডিড উড বলেন, পিউ রিচার্স সেন্টারের গবেষণায় বলা হয়েছে মুসলিমদের ধারাবাহিক বৃদ্ধি পুরোপুরি সংখ্যা তাত্ত্বিক। কারণ পারিবারিক বা ধর্মীয় ধারা মেনেই মুসলিমদের সংখ্যা বেশি হয়। আর একটি বিষয় হলো মুসলিমরা কখনোই ধর্ম ত্যাগ করেন না। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে ২০৭০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যাও বাড়বে প্রায় ৩৫%। -টিডিএন বাংলা
