প্রশ্ন : বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শোনা যায় যে, কাবা ঘর দেখলেই নাকি হজ্ব ফরজ হয়ে যায়। এ কথা কি ঠিক? কোনো দরিদ্র ব্যক্তি যদি কারো পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব করতে যায় তাহলে কি তার আর্থিক সামর্থ না থাকলেও তার ওপর হজ্ব ফরজ হয়ে যাবে? একইভাবে কেউ যদি উমরা করতে গেল, বিশেষত রমজানে, তাহলেও কি বাইতুল্লায় পৌঁছলেই তার ওপর হজ্ব ফরজ হয়ে যাবে? সে যদি পরবর্তী সময়ে হজ্বে যেতে না পারে তবে কী হবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর : ‘কাবা শরীফ দেখলে কিংবা উমরা করতে গেলে হজ্ব ফরজ হয়ে যায়’-এ ধারণা ঠিক নয়। কাবা শরীফ দেখা -না দেখার সাথে হজ্ব ফরজ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। হজ্ব ফরজ হওয়ার জন্য সামর্থ থাকা শর্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- (অর্থ) যাদের নিকট এই ঘর (কাবা শরীফ) পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ আছে তাদের ওপর এই ঘরের হজ্ব করা ফরজ। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
তাই হজ্ব ফরজ হওয়ার জন্য হজ্বের মৌসুমে হজ্বে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরে থাকাকালীন দিনগুলোতে পরিবারের লোকদের স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
এছাড়া বর্তমানে হজ্বের জন্য সৌদি সরকার কর্তৃক অনুমতি থাকা এবং বৈধ ভিসাও প্রয়োজন। উমরা ভিসায় গিয়ে হজ্ব করার অনুমতি থাকে না। তাই উমরা করতে গিয়ে হজ্বের জন্য থেকে যাওয়া আইনতও নিষেধ। -(গুনইয়াতুন নাসিক ১৮,২২,৩৩৮; আলমাসালিক ১/২৬২; মানাসিক ৪২-৪৩,৫৩; জাওয়াহিরুল ফিকহ ১/৫০৭ )
[ফতওয়া বিভাগ : মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা থেকে]
