নির্বাচন সামনে, তালিকা হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।এসব অস্ত্র ব্যবসায়ীদের নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগিরই দেশব্যাপী অভিযান শুরু করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এমন প্রকাশ করেছে ঢাকার বিভিন্ন গণমাধ্যম।

দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার রোধ করার জন্য চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ী ছাড়াও যাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব তালিকা ধরে তাদের গ্রেফতার করা হবে। আর এ অভিযান নির্বাচনের আগেই পরিচালনা করা হতে পারে।

গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান সারাবছরই হয়ে থাকে। তারপরও কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ী অধরা থেকে যায়। যারা দেশে ও দেশের বাইরে থেকে এই অস্ত্র ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি কোন পথে কীভাবে এসব অস্ত্র আনা নেওয়া করা হচ্ছে সে বিষয়েও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে খবরে প্রকাশ , শুধুমাত্র রাজধানীতে তিন শতাধিক অবৈধ অস্ত্রধারী আছে। এসব অস্ত্রধারীরা অস্ত্র বেচাকেনার পাশাপাশি সারাদেশে চাহিদা অনুযায়ী ভাড়া দিয়ে থাকে। নির্বাচন আসলে অস্ত্রের চাহিদা বেড়ে যায়। ভাড়ায় নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন এলাকার দলীয় ক্যাডাররা। নির্বাচনে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারকারীরা অস্ত্র কেনার থেকে ভাড়ায় নিতে বেশি আগ্রহী থাকে। যে কারণে ভাড়ায় অস্ত্র নেওয়ার চাহিদা থাকে বেশি। ভাড়া নিতে আগ্রহীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ‘ছোট অস্ত্র’। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, অবৈধ অস্ত্র কিনে নিজের কাছে রাখা বেশ বিপদজনক। সে তুলনায়, চাহিদামতো ভাড়ায় নেওয়াটাকে বেশি নিরাপদ মনে করে অবৈধ অস্ত্রের গ্রাহকরা।

ভাড়ায় অস্ত্র নিতে আগ্রহীদের সংখ্যা সব জাতীয় নির্বাচনের আগে বেড়ে যায়। একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখেও এসব অস্ত্র হাত বদল হওয়ার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ঢাকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন জানায়, ক্ষমতাসীনদের সাপোর্ট নিয়েই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ীরা লেনদেন করে থাকে। তাদের ব্যবসায় ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা থাকে। এ ছাড়া অধিকাংশ অস্ত্র ব্যবসায়ীর রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। ফলে সুনির্দিষ্ট ও নিশ্চিত তথ্য ছাড়া কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায় না। তারপরও আমাদের উদ্ধার অভিযান বছরব্যাপী পরিচালিত হয়। কম-বেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এ অভিযান আরও জোরালো করা হতে পারে।

পূর্ববর্তি সংবাদপ্রমাণ পেলে তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন : রফিকুল ইসলাম
পরবর্তি সংবাদদুই দিনের মধ্যে জানা যাবে খাশোগির হত্যাকারীর নাম!