দেশজুড়ে সংস্কার হচ্ছে আড়াই হাজারের বেশি জরাজীর্ণ ডাকঘর

দেশের  ২ হাজার ৮৭৯টি ডাক ঘরের বেশিরভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী। সরকার এসব জরাজীর্ণ ডাকঘর সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৬টি বিভাগে ৬টি জিপিও ভবন, ২৪ জেলায় জেলা পোস্ট অফিস ভবন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ৮টি এবং রাজশাহী মহানগর এলাকায় ১টিসহ মোট ৯টি সাব পোস্ট অফিস ভবন এবং রাজধানীর বনানীর ডাক জীবনবীমা অফিসের নিজস্ব ভবন নতুন করে নির্মাণ করা হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জনাজীর্ণ পোস্ট অফিস ভবন সংস্কার সংক্রান্ত একটি প্রকল্প একনেকের অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

সূত্র আরও জানিয়েছে, ডাক বিভাগ থেকে জমা দেওয়া ‘ডাক অধিদফতরের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যার পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় ডাক অধিদফতর ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যেএ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে নতুন বিভাগ, সিটি করপোরেশনের সংখ্যাও। পাশাপাশি দেশের সব মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়েছে। বিশেষ করে, শহর এলাকার জনগণ কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু ডাক অধিদফতরের অবকাঠামো সে হারে উন্নয়ন বা সম্প্রসারিত হয়নি।

বর্তমানে দেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে ৪টি বিভাগে জিপিও ভবন রয়েছে। দেশের জেলা শহরগুলোয় পুরনো ডাকঘরগুলোকেই জেলা ডাকঘর হিসাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যবহার বাড়ায় ডাক সেবা খাতে সাধারণ চিঠিপত্র কমে গেছে। তবে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়ায় দেশে এবং বিদেশে পার্সেল ও লজিস্টিক পরিবহন সেবার পরিধি বেড়েছে। কিন্তু ডাক অধিদফতরের বিদ্যমান পুরনো ডাকঘরগুলোয় বিভিন্ন আকৃতির ও ওজনের পার্সেল ও লজিস্টিক গ্রহণ, প্রসেসিং ও বিতরণের প্রয়োজনীয় স্পেস নেই।

 

পূর্ববর্তি সংবাদকাবা ঘর দেখলেই কি হজ্ব ফরজ হয়ে যায়?
পরবর্তি সংবাদভারতে এবার মহিষ পরিবহনেও ছুরিকাঘাত, উল্টো মামলা