‘জোটের ঐক্য অটুট রাখতে হবে, নির্বাচনে আমাদের জিততে হবে। যেখানে যাকেই প্রার্থী ঘোষণা করব, তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।’ বুধবার ও গত রাতে গণভবনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা একের পর এক দেখা করতে গেলে এমন হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে আগামী রবিবার ঘোষণা করা হচ্ছে মহাজোটের প্রার্থীদের নামের তালিকা। ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ ও জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও আজ রাতে কিংবা আগামীকাল শনিবার মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে আরেকবার বসছেন মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে, জোটের ঐক্য ঠিক রাখা ও ‘বিদ্রোহী’ এড়াতে জোটগতভাবে প্রার্থী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জোটের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রার্থী ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
জোটের কয়েকজন নেতা জানান, জোটগত প্রার্থী ঘোষণা না করা হলে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী থেকে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। সে কারণে জোটের শীর্ষ নেতারা আসন বণ্টন চূড়ান্ত করেই একযোগে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর মহাজোট শরিকদের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে নিজ নিজ দল থেকে তারা বহিষ্কৃত হবেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা জানান, এবার মহাজোটকে সর্বোচ্চ ৭০টি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান শরিক জাতীয় পার্টিকে ৪৫, ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৫, জাসদ দুই অংশকে ৪, তরিকত ফেডারেশন ও জেপিকে ১ বা ২, যুক্তফ্রন্টকে সর্বোচ্চ ৪, জাকের পার্টিকে ১টি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ৬০টি আসন নিতে সিদ্ধান্তে অনড়। জাপাসূত্র মনে করছে এটি তারা পাবেন। আওয়ামী লীগ সূত্র বলেছেন, যোগ্য প্রার্থী হলে অর্থাৎ বিজয়ের সম্ভাবনা থাকলে ছাড় দিতে আপত্তি নেই।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত। আমরা ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেব মহাজোটের প্রার্থীদের। জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শেষে ২৫ নভেম্বর রবিবার জোটগতভাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে।’
