সেই ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে যা বললেন ৩ সচিব

অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা।

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা আসন্ন নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে অফিসার্স ক্লাবে ‘গোপন বৈঠক’ করেছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনজন সচিব। তাদের দাবি, কথিত ওই বৈঠকে তারা উপস্থিত ছিলেন না।

রুহুল কবির রিজভীর দাবি, গত ২০ নভেম্বর রাতে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের চারতলার পেছনের দিকের একটি সম্মেলন কক্ষে ওই গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের কোন কোন কর্মকর্তা সেই বৈঠকে ছিলেন, তার একটি তালিকাও দেন রিজভী। ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার একটি সার-সংক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি।

বিএনপি নেতার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও মহানগরী রিটার্নিং কর্মকর্তা সদস্য সচিব আলী আজম এবং প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-১ কাজী নিশাত রসুল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সেখানে পুলিশ, র‌্যাব, ডিএমপি ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারাও ছিলেন।

তবে ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন না বলে তারা দাবি করেছেন।

সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘আমি ওই কথিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম না। বিএনপি আমার নাম ব্যবহার করে আমার মানহানি করেছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, কল্পিত ঘটনায় ফয়েজ আহম্মদকে জড়িয়ে রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সংবাদে যে তারিখ ও সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই তারিখ ও সময়ে জনপ্রশাসন সচিব মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন শেষে রাত ৮টায় পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অফিস ত্যাগ করেন। ওইদিন তিনি অফিসার্স ক্লাবেই যাননি।

বৈঠকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘চাপ সৃষ্টি করার জন্য উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে এই মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে। আমাকে বিতর্কিত ও হেয় করার জন্য এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কোথাও কোনো বৈঠকে অংশ নেইনি। ’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদে বলা হয়েছে, অফিস পরবর্তী অবসর সময়ে ক্লাবের সম্মানিত সদস্যরা এ ক্লাবে খেলাধুলা, বিনোদনসহ অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন। তাই সন্ধ্যার পর ক্লাবে উপস্থিত থেকে বিনোদন ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহনের মতো অতি স্বাভাবিক একটি কার্যক্রমকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে প্রকাশ করা চরম বিভ্রান্তিকর এবং একজন ক্লাব সদস্যের জন্য অবমাননাকর।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (হিল) এ পূর্বনির্ধারিত বার্ষিক সাধারণ সভা ও পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তি সংবাদগায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার স্থগিত করার দাবি জানালেন কর্নেল অলি
পরবর্তি সংবাদছিনতাই করতে গিয়ে জাবির ৫ শিক্ষার্থী হাতেনাতে আটক