২০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দী করে নির্যাতন : চীনের সমালোচনায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : সোমবার ওয়াশিংটনে চীনের উইঘুর প্রদেশের মুসলিমদের ওপর চীন সরকারের এই বর্বরতার কাহিনী শোনাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসলিম নারী মিহিরগুল তুরসুন। উইঘুর প্রদেশের মুসলিমদের ওপর চীন সরকারের অত্যাচারের অভিযোগ এই প্রথম নয়। চীনের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আনুমানিক ২০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের জন্য দেশটিকে তিরস্কার করেছেন ২৭৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২৭৮ ব্যক্তির সম্মিলিত একটি দল গত সোমবার ওয়াশিংটনে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তিরস্কার করেন। এ সময় এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য বিভিন্ন দেশকে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানায় তারা। খবর আল জাজিরার।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো রাষ্ট্রের জনগণের ওপর অত্যাচার বিশেষ করে ধর্মীয় সঙ্খ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের মত নেতিবাচক উদাহরণ ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করার জন্য এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা আবশ্যক। দেশগুলোর উচিত উইঘুর মুসলিমদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়া।

গত আগস্টে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে বলা হয় চীন উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ক্যাম্প গড়ে তুলেছে যেখানে তাদের সংশোধনের নামে অত্যাচার করা হচ্ছে।

এই ধরণের বন্দিশিবির থাকার কথা অস্বীকার করেছে চিন সরকার। কিন্তু অপরাধীদের জন্য উইঘুর প্রদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা থাকার কথা জানিয়েছে তারা। মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আড়ালেই বন্দিশিবির চালাচ্ছে বেইজিং। পুরো চিন জুড়ে ‘এক শিক্ষা, এক সংস্কৃতি’ চালু করতে বেইজিং সরকারের পরীক্ষা নিরীক্ষার শিকার উইঘুর মুসলিমরা, এমনটাই অভিযোগ তাদের। এই অত্যাচারের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে অনেক মুসলিম উইঘুর প্রদেশ ছেড়ে জীবন বিপন্ন করে পালাচ্ছেন এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকায়। শুধু উইঘুর নয়, চীন সরকারের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার এই অঞ্চলের কাজাখ মুসলিমসহ আরও বেশ কিছু মুসলিম অঞ্চলের বাসিন্দারা। এমনটাই জানাচ্ছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

সূত্র : আলজাজিরা ও আনন্দবাজার পত্রিকা

পূর্ববর্তি সংবাদফখরুলের কান্না নিয়ে রসিকতা করলেন ওবায়দুল কাদের!
পরবর্তি সংবাদহামিদ মীর এবং অন্যান্য উর্দু কলামের ভাষা, আমার উপকৃতি ও অভিজ্ঞতার কথা : ড. ইমতিয়াজ বিন মাহতাব