যে কারণে মনোনয়ন পেলেন না মুফতি রুহুল আমীন

আবরার আবদুল্লাহ ।।

নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে তুমুল আলোচনায় এসেছিলেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার পরিচালক মুফতি রুহুল আমীন। রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি না হয়েও তার হঠাৎ নির্বাচন করার ঘোষণা বিস্মিত করেছিলো অনেককে। তার চেয়ে বেশি বিস্মিত করেছিলো ধর্মনিরপেক্ষায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ইচ্ছায়।

নির্বাচন ও রাজনীতির সাথে পূর্ব পরিচয় না থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তি ও বিজয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিলেন মুফতি রুহুল আমীন। নৌকার মনোনয়ন পেলে হয়তো বিজয়ীও হতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তা পাননি।

নড়াইল-২ আসনে নৌকা প্রত্যাশীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত তিনিই এগিয়ে ছিলেন বলে দাবি তার ঘনিষ্ঠজনদের। তাহলে মনোনয়ন পেলেন না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, ‘মূলত জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নির্বাচনে আসায় সব হিসাব পাল্টে গেছে।’

তাদের ভাষায় সেটা এভাবে যে, ‘নড়াইলের সংসদীয় আসন দুটি। নড়াইল-১ ও নড়াইল-২। মাশরাফি নির্বাচন করবেন নড়াইল-২ থেকে। এখন মুফতি রুহুল আমীনকে যদি নড়াইল-১ আসনের মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে জেলার দুটি আসনই বহিরাগত অর্থাৎ দলের বাইরে চলে যায়। যা দলীয় নেতা-কর্মীরা কিছুতেই মানতে নারাজ ছিলো। তাই শেষ পর্যন্ত মুফতি রুহুল আমীনকে মনোনয়ন দেয়া যায়নি।’

মাশরাফি কেন অগ্রাধিকার পেলো? এরও উত্তর দেন তারা ‘মাশরাফি ছিলো আওয়ামী লীগের পছন্দ। আওয়ামী লীগের ইচ্ছায় সে নির্বাচন করছে। কিন্তু মুফতি রুহুল আমীনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পুরো ইচ্ছাটা ছিলো না।’

আরও পড়ুন : ‘কওমি জননী’ খেতাব নিয়ে আলেমসমাজে অস্বস্তি

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার নির্বাচন কর্মীরা। স্বতন্ত্র বা অন্য কোনো প্রতীকে নির্বাচন করবেন না তিনি। তবে নির্বাচনের মাঠে থাকবেন কিনা অর্থাৎ অন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন কিনা তাও জানাননি তারা।

মুফতি রুহুল আমীন মনোনয়নের পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু পাবেন কিনা সে বিষয়েও কোনো আলোচনা হয়নি আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সাথে –দাবি মুফতি রুহুল আমীনের ঘনিষ্ঠজনদের।

উল্লেখ্য, নির্বাচন নিয়ে মুফতি রুহুল আমীন ও তার কর্মীদের অতি উৎসাহ অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটূ মনে হয়েছিলো। বিশেষ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধী দেয়া এবং হলুদ গেঞ্জিতে আওয়ামী সভানেত্রীর সুভেচ্ছা বাণী প্রচারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন উলামায়ে কেরাম।

পূর্ববর্তি সংবাদনির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি প্রশ্নসাপেক্ষ : রিজভী
পরবর্তি সংবাদদুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা খোকাসহ ৪ জনকে ১০ বছর জেল