ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতী মোহাম্মদ ওয়াক্কাস যশোর-৫ আসনে জোটের মনোনয়ন পেয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করবেন।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে একই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শহীদ ইকবাল হোসেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মুফতী ওয়াক্কাসের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিলো আগ থেকেই। কিন্তু তার মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরের দিনই যশোর পৌঁছে যায় তার গ্রেফতারি পরোয়ানা। এজন্য তিনি নিজে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাননি। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন মুফতী ওয়াক্কাসের ছেলে ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
মুফতী ওয়াক্কাসের পরিবার সূত্রেও জানা গেছে মনোনয়ন পেলেও তিনি এখন এলাকায় যেতে পারছেন না। ঢাকা থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এ বিষয়ে মুফতী ওয়াক্কাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে অনেক আগ থেকে। মামলা চলছিলো কোনো একবার আমি আদালতে হাজির হতে পারিনি। তখন আমার নামে চার্জশিট হয়ে যায়। এরপর আমি আর আদালতে যাইনি। গেলে হয়তো আটকে দিতো।’
আরও পড়ুন : মুফতী ওয়াক্কাসকে খুঁজছে পুলিশ!
তবে তিনি ‘নির্বাচন করলে গ্রেফতার করা হবে’ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন হুমকির কথা অস্বীকার করেন।
মুফতি ওয়াক্কাসের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, পূর্বে এমন অবস্থায় আর কোনো নির্বাচন করতে হয়েছে কিনা? উত্তরে বলেন, ‘আমি এর আগে ৬টি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ৩টিতে জিতেছি, ৩টিতে হেরেছি। এটা আমার ৭ম নির্বাচন। আগে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পরতে হয়নি। আগে নির্বাচনের আগে এমন ধর-পাকড়ের সংস্কৃতিও ছিলো না।’
তবে নির্বাচনে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেই প্রত্যাশা করছেন প্রবীণ এই ইসলামি রাজনীতিবিদ।
২০ দলীয় জোটের অনেক প্রার্থী গ্রেফতার হচ্ছেন এতে তিনি ভীত কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বলেন, এসব প্রশ্ন এখন থাক। প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হোক তারপর এসব বিষয়ে কথা বলা যাবে।
পড়ুন : ৩ আসনে মনোনয়ন : চমক দেখালেন মুফতী ওয়াক্কাস
