ইসলাম টাইমস ডেস্ক : আট-নয় বছরের এক কন্যাশিশুকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সুতপা ভট্টাচার্য। তারা ফুলার রোড এলাকায় থাকেন। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর নাম আনিতা। তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়।
জানা গেছে, আনিতা প্রায় তিন থেকে চার বছর ধরে ওই শিক্ষকের বাসায় কাজ করত। তাকে বিভিন্ন সময় এই দুই শিক্ষক নির্যাতন করতেন। ওই শিশুকে ঠিকমতো খেতে দিতেন না। বাসার বাইরে বের হতে না দিয়ে আটকে রাখতেন। গত মঙ্গলবার ওই শিশু নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাসা থেকে পাশে অবস্থিত উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে উদয়ন স্কুল থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আনিতাকে যখন তখন মারধর করতেন তারা। গত মঙ্গলবার ওই দুই শিক্ষকের বাসায় পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসেছিল। তারা কোর্য়াটারের মধ্যে এ বিষয়ে একটি মিটিং করেছেন।
অভিযুক্ত গোবিন্দ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের প্যানেল নীলদল করেন। সামনে নীলদলের নির্বাচন। তাই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। আনিতা এখন উদয়ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা বেগমের বাসায় আছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক গোবিন্দ চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী সুতপা ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
নীলদলের পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমি এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে, তারা যদি এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে সুবিচার নিশ্চিত করা।’
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত। ওই শিক্ষক কেন এ ধরনের কাজ করেছেন, তা দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিশুটি এখন আমাদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে আছে।’
