ইসলাম টাইমস ডেস্ক:
গুজব বন্ধে দেশের প্রত্যেক জেলায় মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে গুজব বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
শনিবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় ‘জাতীয় নির্বাচন: গুজব সহিংসতা প্রতিরোধে সম্প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
গণমাধ্যমের প্রতি তিনি বলেন, “কোনো একটি ফেইক নিউজ কোনো একটি অনলাইন পোর্টাল বা টেলিভিশন অথবা সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হল, একই নিউজ অন্য গণমাধ্যমে প্রকাশের ক্ষেত্রে ফিল্টারিং, রিচেক, ক্রসচেক ইত্যাদি করা দরকার। একজন করেছে তাই বলে ক্রসচেক না করেই আরকজন করবেন তা যেন না হয়।”
পুলিশের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজস্ব সোর্সে কোনও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার কথাও বলেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যে কোনও তথ্য পুলিশ সরবরাহ করবে আর তা প্রচার করবেন এটার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের সোর্সে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং যাচাই বাচাই করুন। দায়িত্বশীলতা সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করবেন। কারণ,একটি ভুল বা মিথ্যে সংবাদে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই গোলটেবিল আলোচনার শুরুতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা ও নিজেদের কথাগুলো তুলে ধরেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশেদ নিজাম বলেন, আমরা যে কোনও ঘটনায় মাঠে থেকে কাজ করি, প্রশাসনও আমাদের সঙ্গে থাকে। কোনও একটি ঘটনার পর আমাদেরকে সেটা সম্পর্কে জানতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়। এরই মধ্যে মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে গুজব সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য একটি মিডিয়া সেল গঠন করা যেতে পারে। যেখান থেকে গুজব বা জরুরি কোনও ঘটনায় সত্যতা যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জানানো হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ঠেকানোর জন্য সবাইকে সতর্ক হয়ে কাজ করা এবং একাধিকবার চেক-রিচেক করে সংবাদ প্রকাশের কথা বলেন সাংবাদিকরা।
গোলটেবিল আলোচনায় প্যানেল আলোচকদের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, সাংবাদিক হিসেবে কমনসেন্স থাকা জরুরি। কোনটা তথ্য আর কোনটা গুজব সেটা বুঝতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া এখন সাংঘাতিক আনসোসাল হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনও নিউজের সোর্স হতে পারে না। ক্লু হতে পারে।
গুজব সম্পর্কে তিনি বলেন, গুজবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো সত্য সংবাদ প্রকাশ। সত্যতা নিশ্চিত না হয়ে সংবাদ প্রকাশ না করা, ন্যায্যতা নিশ্চিত না হয়ে সংবাদ প্রকাশ না করা সংবাদকর্মীদের দায়িত্ব।
মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশের আয়োজনে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
