এরশাদ বাসায় থাকতে ভয় পান : রাঙ্গা

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : প্রতিবার নির্বাচনের আগে এরশাদের সিএমএইচে ভর্তি হওয়া এবং পার্টির মহাসচিব পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সর্ম্পক আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘যদি প্রত্যেকবারই হয় তাহলে সর্ম্পক আছে বলেই মনে হয়। আর প্রত্যেকবার না হলে কোনো সর্ম্পক নাই।’

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

জাপার নতুন মহাসচিব আরো বলেন, ‘বাসায় রাতে ঘুমে ডিস্টার্ব হলেই উনি (এরশাদ) সঙ্গে সঙ্গে সিএমএইচে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ, উনি মনে করেন ওই জায়গাটা (সিএমএইচ) ওনার জন্য সিকিউরড। সেখানে নার্স পাচ্ছেন, ডাক্তার পাচ্ছেন। বাসায় দেখা যায়- ছেলেরা ঘুমিয়ে আছে, কাজের মানুষরা ঘুমিয়ে আছে। এ কারণে হয়তো ওনার একটু ভয় করে একলা একলা। আমি ওনার বেডরুমে গিয়েছি, উনি মনে করেন ওখানে (সিএমএইচ) থাকাটাই ভালো।’

মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘চেয়ারম্যান সেখানে বিশ্রামে আছেন, আমরা বলেছি নেতাকর্মী ও মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যেন ওখানে না যায়। অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী স্যারের (এরশাদ) বাসায় গিয়ে বলেন- দলের জন্য আমি এই করেছি, সেই করেছি, আমাকে মনোনয়ন দিতে হবে। এসব কারণে স্যারের সমস্যা হয়। ওনার ইনফেকশনেরও একটা ভয় আছে।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যেকোনো দিন চলে যেতে পারেন সিঙ্গাপুরে। সোমবার দিবাগত রাতে সিএমএইচে ভর্তি হন এরশাদ। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাসায় একা থাকতে আতঙ্ক বোধ করছেন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হঠাৎ করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ইতোমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে সিএমএইচে এক দফা ভর্তি হন এরশাদ। বাসায় ফেরেন ৩০ নভেম্বর রাতে।

সবশেষ ৩ ডিসেম্বর জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়ে সেদিন রাতেও সিএমএইচে ভর্তি হয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান। নতুন মহাসচিব জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য যেকোনো সময় সিঙ্গাপুর যাবেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

পূর্ববর্তি সংবাদনির্বাচনে সাংবাদিকরা পাহারাদারের ভূমিকা রাখতে পারেন : ড. কামাল 
পরবর্তি সংবাদসাজা ভোগ করে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭ বাংলাদেশি, বন্দী আরও ৫০