ইসলাম টাইমস ডেস্ক : গত শনিবার (১ ডিসেম্বর) টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে ওলামায়ে কেরাম, মাদরাসার ছাত্র ও তাবলিগি সাথীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা করে সাদপন্থী উগ্র এতায়াতিরা। তাদের সেই ন্যক্কারজনক হামলায় শত শত আলেম এবং হাজার হাজার ছাত্র রক্তমাখা দেহ আর জখম হওয়া শরীরে কোনোভাবে জান নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন। কেউ কোনো ধরনের মালসামানা, সিটবেডিং, ব্যাগপত্র, জামাকাপড় কিছুই নিয়ে ফিরতে পারেননি।
শনিবার সকালবেলার হামলার পর থেকে ওই দিন আছর পর্যন্ত সাদপন্থী এতায়াতিরা ইজতেমার মাঠে অবস্থান করে। এরপর পুলিশ তাদের বের করে দেয় এবং মাঠ তাদের জিম্মায় নিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশ মাঠে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। মাঠ তাদের হেফাজতে থাকে।
শনিবারের বর্বর হামলার দুদিন পর ইজতেমার মাঠ থেকে মালসামানা আনার অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্ররা তাদের সিটবেডিং ও ব্যাগপত্র আনতে গিয়ে দেখে অর্ধেক জিনিসপত্রই লুট হয়ে গেছে। কারও ব্যাগের চেইন খোলা। ব্যাগের ভেতরের জামাকাপড়-জিনিসপত্র বাইরে ছড়ানো। কারও ব্যাগের ভেতরে থাকা টাকাপয়সা এবং কোনো কোনো জিনিস নেই। কারও নতুন জামাকাপড় নেই। সিটবেডিং সব ছড়ানো ছিটানো। কারও কারও সিটবেডিং খোলা। ভেতরের নতুন কম্বল নেই। নানান জিনিস উধাও।
প্রতিবছর মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্ররা বিশ্ব ইজতেমার আগে প্রস্তুতিমূলক কাজ করেন। এ বছরও পরামর্শ মোতাবেক তেমনটিই করতে গিয়েছেন। শনিবারে সেদিন মাঠে অবস্থান করছিলেন ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর, এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্র এবং ওই সব এলাকার তাবলিগি সাথীরা। তারা দুই-তিন দিন অবস্থান করার জন্য রান্নাবান্নার সামানপত্র, সিটবেডিং এবং ব্যাগে করে প্রয়োজন পরিমাণ জামাকাপড় নিয়ে গেছেন।
অপরদিকে সাদপন্থীরা ইজতেমার মাঠে গিয়েছে কোনো সিটবেডিং ও সামানাপত্র ছাড়াই। তারা যদি জোড় করার উদ্দেশ্যেই টঙ্গী এসে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সেদিন কোনো সামানাপত্র এবং সিটবেডিং ছিল না কেন- এটা তো একটা প্রশ্ন আছেই। কিন্তু শনিবার সকালে সাদপন্থীরা হামলার পর পুরো মাঠ তারা দখল করে নেয় এবং সেখানে আছর পর্যন্ত অবস্থানও করে।
এখন এত এত ব্যাগ, জিনিসপত্র, জামাকাপড় কারা নিয়েছে এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
![](https://www.islamtime24.com/wp-content/uploads/2021/03/20210308_200803-scaled.jpg)