আবরার আবদুল্লাহ ।।
দাবি মেনে নেয়ার আগ পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে আর কোনো বৈঠকে অংশ নেবেন না দেশের শীর্ষ আলেমরা। আজ বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোর্ডের কার্য নির্বাহী কমিটি।
টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে সাধারণ মুসল্লি ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা বিষয়ে জরুরি বৈঠক আহবান করে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক।
বৈঠক অংশগ্রহণকারী মাওলানা মাহমুদ হাসান সিরাজী ইসলাম টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টঙ্গীর মাঠে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ তাবলিগি সাথীদের উপর সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের হামলার পর দেশজুড়ে কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে মাদরাসাসমূহের করণীয় নির্ধারণ করতে এই বৈঠক আহবান করা হয়।
আজ সকাল ১১টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ির কাজলায় অবস্থিত বেফাক অফিসে এই বৈঠক শুরু হয়ে বেলা ১২. ৩০ তা শেষ হয়।
বৈঠকে টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাহলো,
১. উলামায়ে কেরামের দাবি মেনে নেয়ার আগে সরকারের সঙ্গে আর কোনো বৈঠকে বসা হবে না।
২. শুক্রবার সারা দেশে বিক্ষোভ পালন করা এবং মসজিদে মসজিদে এই বিষয়ে আলোচনা করা।
৩. আগামী মঙ্গলবারে হাটহাজারীতে আল্লামা আহমদ শফীর উপস্থিতিে সারা দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেম ও তাবলিগি মুরব্বিদের বৈঠক করা।
বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুুপুরের পীর), মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মুফতি বোরহান উদ্দিন, মুফতি শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ বিন হাফেজ্জি, মাওলানা মাহমুদ হাসান সিরাজী প্রমুখ।
ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের মাদরাসার মোহতামিমগণও আজকের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তবে কাকরাইলের কোনো মুরব্বি শেষ পর্যন্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি।
আরও পড়ুন : টঙ্গীর হামলার জন্য সামীম আফজালও দায়ী করলেন সাদপন্থীদের (ভিডিও-সহ)
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের ওপর কেন ক্ষুব্ধ অনেকেই?
![](https://www.islamtime24.com/wp-content/uploads/2021/03/20210308_200803-scaled.jpg)