আমেরিকায় ২০১৭ সালে আত্মহত্যা করেছে ৪৭ হাজার মানুষ

২০১৭ সালে ৪৭ হাজার আমেরিকান আত্মহত্যা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বেগজনক এ তথ্য গত  বুধবার (৫ ডিসেম্বর) প্রকাশ করেছে আটলান্টাস্থ রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ সেন্টার। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৯ সাল থেকে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৩৩%।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্য যে কোন জাতিগোষ্ঠির তুলনায় দ্বিগুণ আমেরিকান আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। গৃহবিবাদসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে রাজপথ, টিভি টক শো সোচ্চার হলেও আত্মহত্যা প্রতিরোধে কেউই উচ্চবাচ্য তেমন একটা করে না। বিখ্যাত ব্যক্তিরা কেন আত্মহত্যা করেন-তা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারও মাথাব্যাথা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। চেষ্টা করাও হয় না কারণ উদঘাটনে।

গবেষকরা মন্তব্য করেছেন যে, জীবনাচারের খেসারত হিসেবেই হয়তো আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থায় সুন্দর ভবিষ্যতের সঠিক দিক-নির্দেশনা না থাকার কারণেই আমেরিকানরা ক্রমে হতাশায় নিপতিত হচ্ছেন। আত্মহত্যার নেপথ্য কারণ হিসেবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নেশা ও মাদককে। একাকীত্ব অবসানেও কেউ কেউ আত্মহত্যাকে বেছে নিচ্ছেন বলে গবেষকরা মন্তব্য করেন। চরম অর্থ সংকটে পড়েও অনেকে এই পন্থা অবলম্বন করেন।
এ গবেষণা টিমের প্রধান থমাস জৈনার বলেন, ‘মনোমালিন্য এবং অন্য কোন বিষয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ বা বিষন্নতা দূর করার মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা হ্রাসের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাদের মধ্যেকার পারিবারিক মূল্যবোধ ততটা জাগ্রত নয় কিংবা সামাজিক বন্ধনও নড়বড়ে। বাস্তবতার আলোকে এখন থেকেই সবকিছুতে সংস্কারের বিকল্প নেই।’

প্রসঙ্গত,  আত্মহত্যা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দশম শীর্ষ কারণ, যাকে মহামারি হিসেবেও অভিহিত করা হচ্ছে। এদিকে, গত বছর বিশ্বে ৬৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে আত্মহত্যা রোধে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে।

পূর্ববর্তি সংবাদটঙ্গীর ময়দানের মজলুমান : আমরা এখন কী করব?
পরবর্তি সংবাদমহাজোটের শরিকদের মধ্যে আসন বন্টন শুরু