উগ্রবাদী সাদপন্থীরা ভর করেছে মিডিয়ার ওপর

নিজস্ব প্রতিবেদক : তাবলিগ জামাতের নামে উগ্রবাদী সাদপন্থীরা এবার মিডিয়ার ওপর ভর করে সামনে এগুতে চাচ্ছে।  ১ ডিসেম্বর শনিবার টঙ্গী ইজতেমার মাঠে নিরীহ তাবলীগী সাথী, আলেম-উলামা ও মাদারাসা ছাত্রদের ওপর নির্মম আক্রমণ চালানোর পর ইমেজ সংকটে পড়েছে উগ্রপন্থি, আলেম-বিদ্বেষী সাদপন্থিরা। তাই কয়েকটি অনলাইন নিউজ পেপারের ওপর ভর করে অপপ্রচার ও উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে তারা। এমনই অভিযোগ করেছেন সাদ-বিভ্রান্তিমুক্ত তাবলিগি সাথীরা।

যাত্রাবড়ি এলাকার তাবলিগি সাথী মোফাজ্জল হোসেন জানান, গত বছর দিল্লীর ভ্রান্ত মুরব্বি মাওলানা সাদকে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে প্রবেশ করতে না দেয়ার পর থেকেই সাদপন্থিরা মিডিয়াকে ভুল তথ্য দিয়ে তাদের পক্ষে ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ চেষ্টা তারা কখনো বন্ধ করেনি। কিন্তু ১ ডিসেম্বরের তাদের পরিকল্পিত নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও রক্তক্ষয়ের ঘটনার পর রক্তের দাগ আড়াল করতে নতুন করে কোনো কোনো অনলাইন মিডিয়াকে ব্যবহরের চেষ্টা করছে তারা। এ সব অনলাইন নিউজ পোর্টালকে ভুল তথ্য দিয়ে উগ্র ও সশস্ত্র সাদপন্থিদের সূত্র ধরিয়ে অলীক কল্পকাহিনি প্রচার করতে শুরু করেছে আবার। কাকরাইল মসজিদ, ইজতেমা মাঠের ব্যবস্থাপনা, তাবলিগের জোড় ও ইজতেমার বিষয়ে সাদপন্থিদের মিথ্যাচারের বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কোনো কোনো প্রভাবশালী অনলাইন পত্রিকা।

কাকরাইল মসজিদে সাদ-বিভ্রান্তি বিরোধী একজন তাবলিগি সাথী জানান, ৮ ডিসেম্বর শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেদিন ইজতেমা মাঠে সাদপন্থিদের তাণ্ডব স্বচক্ষে দেখতে যান তখনই একটি অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করেছে- কাকরাইলে নাকি বিদেশি তাবলিগিদের পাসপোর্ট আটকে দেয়া হয়েছে। এসব মিথ্যা খবরের সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে উগ্রপন্থী এবং সাদ বিরোধীদের হত্যার বৈধতা দানকারী আবদুল্লাহ মনসুরকে। আসলে বানোয়াট ও ভুল খবর প্রকাশ করিয়ে প্রশাসনকে বিব্রত করাই হচ্ছে উগ্রপন্থি রক্ত ঝরানো সাদপন্থিদের কৌশল। এ জন্যই তারা কোনো কোনো অনলাইন মিডিয়া ও সাংবাদকর্মীকে বিভ্রান্ত বা ব্যবহার করার চ্ষ্টো করেছে।

সাদ-ভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে সোচ্চার আলেম তাবলিগি সাথী নূরুল ইসলাম বলেন, পয়লা ডিসেম্বরে ইজতেমার মাঠে প্রায় পাঁচ হাজার নিরীহ তাবলিগি ও মাদরাসা ছাত্রের রক্ত ঝরানোর পর  এখন নিজেদের বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে গেছে সাদপন্থিরা। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ব্যর্থ হয়ে এখন চাইছে মিডিয়াকে ব্যবহার করে  আবারো উত্তেজনা তৈরি করতে। প্রশাসনকে বিব্রত করে নিজেদের রক্তের দাগ আড়াল করতে। এদের অপপ্রচারে তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তাবলিগি সাথীরা দাবি করেন, অস্থিরতা তৈরির জন্য উগ্র সাদপন্থিদের উদ্যোগে পরিকল্পিত ফেইক নিউজ ও গুজব প্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

পূর্ববর্তি সংবাদময়মনসিংহে খানকায়ে হুসাইনিয়ায় ইসলাহী মাহফিল অনুষ্ঠিত
পরবর্তি সংবাদমনোনয়নবঞ্চিতরা ইটপাটকেল ছুড়েছে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে