‘বিদ্রোহী মুসলিম’ দমনের অজুহাতে ফিলিপাইন সরকার মিন্দানাওয়ে শুরু করছে এক বছরের মার্শাল ল’

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গত শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সে দেশের মুসলিশ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চল মিন্দানাওয়ে নতুন করে মার্শাল ল’ জারি করার ব্যাপারে সে দেশের আইনপ্রণেতাদের অনুমতি চেয়েছেন। এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, মিন্দানাওয়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী মুসলিম সশস্ত্র যোদ্ধাদের দমন করতে এ মার্শাল ল’ ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তের এই আহ্বান আগামী সপ্তাহেই হয়তো বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু এমন আদেশের ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের মানবাধিকার কর্মী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তারা মনে করছেন, এর ফলে এসব অঞ্চলে নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে এবং বাস্তুহারা হবে অসংখ্য ফিলিপিনো মুসলিম।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সালভাদর পানেলো জানিয়েছেন, ফিলিপিনো জাতিসত্ত্বার সুরক্ষার জন্যই মার্শাল ল’র আদেশ জরুরি হয়ে পড়েছে। সেখানকার বিদ্রোহী জাতিগোষ্ঠী অধিক শক্তিশালী হওয়ার আগেই তাদের দমন করতে হবে।

এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে মিন্দানাওয়ে কালো পতাকাধারী আইএস-এর উপস্থিতি আছে সন্দেহ করে সেখানে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় বড় ধরনের হামলা চালানো হয়। মিন্দানাওয়ের মারাওয়ায়ি শহরে টানা পাঁচ মাস ধরে চলে যৌথবাহিনীর দমন ও হত্যাযজ্ঞ।

এই হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারায় স্থানীয় ১২ শ মুসলিম এবং পুরো শহর ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে মারাওয়ায়ি শহরকে বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা করে সেখানকার সকল নাগরিককে উদ্বাস্তু শিবিরে স্থানান্তর করা হয়।

আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমন করার এই দমনাভিযানে ভুক্তভোগী হবে অন্তত স্থানীয় ২০ লাখ মানুষ। যা সার্বিকভাবেই মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

Source & Images: South China Morning Post

পূর্ববর্তি সংবাদনির্বাচন পর্যবেক্ষণে ফিরল অধিকার
পরবর্তি সংবাদহিন্দুত্বের পোস্টার বয় যে তিন রাজ্যে প্রচারে গিয়েছেন সেখানেই হেরেছে বিজেপি