এখনি সেনা মোতায়ন চায় বিএনপি

ইসলমা টাইম ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন (ইসি)-তে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা, সরকারি দলের আচরণ বিধি লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপি। এ সময় তারা এখনি সেনা বাহিনী নামানোর দাবিও জানিয়েছে।

তারা বলেছে, পুলিশের কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। অথচ তারা সারাদেশে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজ করছে। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পরও দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-গ্রেফতার বন্ধ হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসিতে চিঠি নিয়ে যান দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও সিইসি বা ইসি সচিবের সাক্ষাৎ না পেয়ে তারা ফ্রন্ট ডেস্কে অভিযোগ জমা দেন।

আলাল বলেন, নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়। মনে হচ্ছে, বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারদলীয় এমপি, মন্ত্রী ও প্রার্থীদের পুলিশ ঠিকই নিরাপত্তা দিচ্ছে, প্রটোকল দিচ্ছে। আর ধানের শীষের প্রার্থীদের ধরছে, পেটাচ্ছে ও গ্রেফতার করছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুরে বিএনপির প্রার্থী ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায়ও ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নার সেখানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্যান্ডেল ভাঙচুর করা হয়েছে এবং সভা পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এ সময় ঢাকা-১, নরসিংদী-২, ময়মনসিংহ-২, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-১১, মাগুরা-১, কুষ্টিয়া-৩, মাগুরা-২, টাঙ্গাইল-৭, ফরিদপুর-২, ঢাকা-২, সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৩, পটুয়াখালী-১, মৌলভীবাজার-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, নেত্রকোনা-৩, মানিকগঞ্জ-৩, চাঁদপুর-৪, নওগাঁ-২, রাজশাহী-৪ ও রাজশাহী-৬ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, আটক-গণগ্রেফতার ও পুলিশ প্রশাসনের হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। এসব এলাকায় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আহবান জানান আলাল।

পূর্ববর্তি সংবাদবাজারে আসছে প্যাকেটজাত মাছ
পরবর্তি সংবাদসমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের গায়ে হাত তোলার সংস্কৃতি রুখতে হবে