সাতক্ষীরায় বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা, আহত ৭

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপি প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে কলারোয়া থানা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহতরা হলেন- বিএনপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তাওফিকুর রহমান সনজু, পৌর কৃষকদলের সভাপতি বিএম সিরাজ, বিএনপি কর্মী রুহুল আমিন রুবেল ও উপজেলা যুবদল সহ-সভাপতি মোজাম হোসেন।

এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় স্থানীয় সাংবাদিক তাজউদ্দীন রিপনকে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তারা হলেন, দৈনিক নোয়াপাড়া ও দৈনিক সুপ্রভাতের সাংবাদিক তাজউদ্দিন রিপন ও ফারুক হোসেন রাজ এবং তাকদির রহমান রুবেল। আহতদের কলারোয়া ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপি প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলা সদরে নেতাকর্মীদের নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের লিফলেটসহ গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা পেছন থেকে এসে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এ হামলা চালায়। মারপিটে বিএনপির প্রবীণ নেতা অধ্যাপক বজলুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, বিএনপির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিএনপি দাবি করেছে আওয়ামী লীগের কয়েকজন ব্যক্তি কলারোয়া থানার কাছে পুলিশের উপস্থিতিতে এই হামলা চালিয়েছে। এমনকি কাছেই উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। এ হামলার জন্য তিনিই দায়ী বলে জানান হাবিব।

কলারোয়া থানার ওসি মারুফ আহম্মদ জানান, তিনি এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর শোনেননি।

এদিকে এর আগে ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার বাড়ির আঙিনায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, তার নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। তাদের প্রচার মাইক ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ধানের শীষ প্রতীকের লিফলেট টানাতে দিচ্ছে না। লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

পূর্ববর্তি সংবাদঘানার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বর্ণবাদী’ গান্ধীর মূর্তি অপসারণ 
পরবর্তি সংবাদরাতভর ইসরাইলিদের অভিযান, আটক ৪০ ফিলিস্তিনি