ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘এই সরকারের আমলে যারা মার খায়, তারাই হয় আসামি। যারা হামলা করে তারা দোষী হয় না। হামলার শিকার ব্যক্তিদের নামে উল্টো মামলা দেয়া হচ্ছে।সরকার গণতন্ত্রকে নির্দিষ্ট গতিতে চলতে দিচ্ছে না। ২০-দলীয় জোটসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচারে হামলা চালানো হচ্ছে। প্রচার করতে দেয়া হচ্ছে না।’
বুধবার দুপুরে ২০-দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
মুক্তিযোদ্ধারাও ক্ষমতাসীন দলের হামলা থেকে বাঁচতে পারছে না উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা হচ্ছে। হাটহাজারীতে ২০ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম বীরপ্রতীকের ওপর গতকাল হামলা হয়েছে।’
২০ দলের সমন্বয়ক অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এসব বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টা হামলাকারীদের সাফাই গেয়েছেন।
এ সময় সিইসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করছি-বতর্মান সিইসিকে প্রত্যাহার করে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিন।
এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর উদ্দেশে নজরুল বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আবেদন-জনগণকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
তিনি বলেন, ‘হামলা করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। হামলা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেমের ওপর। কিশোরগঞ্জে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানকে হামলা করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।’
‘এসব হামলা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নয়, তারা নিজ দলের স্বার্থে কাজ করছে৷’
