ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন ও চাঁদপুর শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী খেড়িহর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শামসুল হক রহ.-এর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে খেড়িহর মাদরাসা প্রাঙ্গণে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার নামাজের ইমামতি করেন মারকাযুদ দাওয়া আলইসলামিয়া ঢাকার পরিচালক ও মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। জানাযা শেষে মরহুমকে মাদরাসা সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমের জানাযায় মরহুমের ছেলে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক, মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, মাওলানা মুশতাকুন-নবী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা হোসাইন আহমদসহ বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও বিপুল সংখ্যক দ্বীনপ্রাণ সাধারণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিন শেষে রাত ১২টার আগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী খেড়িহর মাদরাসার মুহতামিম বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন মাওলানা শামসুল হক গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কুমিল্লা শহরের খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালেই তিনি পরম প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে আখেরাতের পথে চলে যান।
মাওলানা শামসুল হক মারকাযুদ দাওয়া আলইসলামিয়া ঢাকার রঈস মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ও প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক-এর আব্বা।
মৃত্যুকালে মরহুম স্ত্রী, পাঁচ ছেলে, এক মেয়ে এবং অসংখ্য যোগ্য আলেমে দ্বীন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি আমৃত্যু ইলমে দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। দীর্ঘ দরস-তাদরিসের জীবনে তিনি সারা দেশে শত শত যোগ্য আলেম তৈরি করার মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে গেছেন।
আমরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
