ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ভারতের পার্লামেন্টের লোকসভায় বিতর্কিত ‘মুসলিম নারী (বৈবাহিক অধিকার রক্ষা) বিল-২০১৮’ পাশ হয়েছে। এই বিলে তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ আখ্যা হয়েছে। আইন অনুযায়ী কোনো মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে আদালত তাকে সর্বোচ্চ তিন বছর শাস্তি দিতে পারবেন। সাথে সাথে স্বামীকে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়ও নিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের লোকসভায় আইনটি পাশ হয়। বিজেপি হুইপ বিলটি লোকসভায় উত্থাপন করেন।
আইনটি ভারতের লোকসভায় ওঠার পর বিরোধী দল এর তীব্র প্রতিবাদ করে এবং তাদের মতামত উপেক্ষা করে আইন পাশ করায় তারা ওয়াকআউক করেন।
বিরোধী দল বলছে, সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই বিতর্কিত এই আইন পাশ করেছে। এখন বিরোধী দলের প্রস্তাব হলো, আইনটি জয়েন্ট সিলেকশন কমিটিতে পাঠানো হোক। তবে সরকার বলছে, ন্যায় ও মানবতা রক্ষার জন্য তারা আইনটি পাশ করেছে।
ভারত সরকার গত সেপ্টেম্বরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের জারিকৃত তিন তালাক সংক্রান্ত অধ্যাদেশকে ভিত্তি করে এই আইন উত্থাপন করে। যদিও আদালতের অধ্যাদেশের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য জেষ্ঠ্য বিচারক।
অল ইন্ডিয়া মাজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ‘মুসলিম নারী (বৈবাহিক অধিকার রক্ষা) বিল-২০১৮’-এর তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, আপনাদের কী সমস্যা ছিলো? সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে আর আপনারা তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করেছেন। এটা কেন করা হচ্ছে? এটা কী আমাদের (মুসলিমদের) বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য করা হচ্ছে? সাবরিমালা ইস্যুতে আদালত ধর্মীয় বিশ্বাসকে গ্রহণ করেছেন। তাহলে আমাদের বিশ্বাস কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? আপনাদের বিশ্বাস যদি আপনাদের হয়, আমাদের বিশ্বাস কেন আমাদের হতে পারবে না?
তিনি আরও বলেন, আপনারা নারী অধিকার রক্ষার কথা বলছেন। অথচ মিটু আন্দোলনে যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে তাকে নিজ দলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাকে কেন বহিষ্কার করছেন না?
সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এনডিটিভি
