ইসলাম টাইমস ডেস্ক : আজ রবিবার ৩০ ডিসেম্বর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় দেশের ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটার। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রেখে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার লড়াইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার স্লোগানে ক্ষমতাসীনদের প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এক সময়ে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ড. কামাল হোসেন বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের মানুষের মালিকানা প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার স্লোগানে ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
দেশ-বিদেশে আলোচিত দশম নির্বাচনের পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল একাদশ নির্বাচন। কী পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, কেমন হবে নির্বাচনের ধরন এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক চলে আসছে গত পাঁচ বছর ধরে। বিরোধী পক্ষের সব দাবি উপেক্ষা করেই প্রথমবারের মতো একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়। শুরু থেকেই প্রতিকূলতার মুখে পড়ে বিরোধী জোট। অনেকটা একতরফাভাবেই শেষ হয় ১৯ দিনের প্রচারণা।
বিরোধী প্রার্থীরা প্রচার ও পোস্টার, ব্যানার লাগাতে পারেননি- এমন অভিযোগ এসেছে শুরু থেকে। বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী। হামলায় আহত হয়েছেন তাদের কর্মী সমর্থকরা। এছাড়া নজিরবিহীনভাবে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে সারা দেশে। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেই আজ ভোটের মাঠে মুখোমুখি সরকারি ও বিরোধী জোট। প্রচারণায় বাধার মুখে থাকা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করে আসছে আগে থেকেই। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে।
জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার ব্যানারে ২২ সেপ্টেম্বর বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও বিকল্পধারার শীর্ষ নেতারা একমঞ্চে আসেন। মহানগর নাট্যমঞ্চের সে নাগরিক সমাবেশে ১লা অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণাও আসে। ১৩ই অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। তাদের দাবির মুখে ১লা নভেম্বর গণভবনে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের নিয়ে সংলাপে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে নির্বাচনের আবহে ফিরে দেশ। নির্বাচনের তফসিল নিয়ে নাটকীয়তা এবং আদালতে রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের পর ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত হয়েছে নানা নাটকীয়তা।
নানা শঙ্কা আর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে সারা দেশে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে রয়েছে সেনা বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি সাড়ে ৪২ লাখ ভোটার ভোটরাধিকার প্রয়োগ করে দেশ পরিচালনার নেতা নির্বাচন করবেন। ২৯৯টি আসনের ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে গণরায় দেবেন তারা। এবারই প্রথম নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবির মুখে গত ১২ই নভেম্বর পুনঃতফসিল ঘোষণা করে ৩০শে ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট স্থগিত করে ২৭শে জানুয়ারি পুনঃভোট দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে সশস্ত্রবাহিনীসহ নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৫ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবেন। মেট্রোপলিটন এলাকার কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আরও একজন করে বেশি রাখা হবে। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল, হাওর এলাকার কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আরও বেশি থাকবে।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। কালো টাকা রোধে ব্যাংকও বন্ধ রাখা রয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও। ইসির অনুমোদন ছাড়া বন্ধ রয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। গতকাল মধ্যরাত থেকে সব ধরনের যানবাহনও চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলের বাইরে অনিবন্ধিত কিছু দল এ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নিবন্ধতিত রাজনৈতিক দল থেকে ১ হাজার ৭৩৩ জন এবং বাকি ১২৮ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। নিবন্ধিত দলের মধ্যে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২৯৮ জন প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আছে। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ২৮২ জন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ২৭২ জন এবং জাতীয় পার্টি-জাপার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১৭৫ জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
ইসি জানিয়েছে, কেন্দ্রের ভেতরে কেবল প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের ইনচার্জ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। ভোটাররা কোনোভাবেই বুথ বা কেন্দ্রের ভেতরে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। ভোটাররা কেউ মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে গেলেও তা বন্ধ রেখে যেতে হবে।
সারা দেশে ১ হাজার ৩২৮ জন নির্বাহী হাকিম এবং ৬৪০ জন বিচারিক হাকিম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করবেন। কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিচার করে শাস্তি দিতে পারবেন তারা। এছাড়া ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটির ২৪৪ জন সদস্য নানান অভিযোগে খতিয়ে দেখতে কাজ করবেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ লাখ সদস্য মোতায়েন
শুধু ভোটকেন্দ্র পাহারায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ লাখ ৮ হাজার জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে পুলিশ ১ লাখ ২১ হাজার, আনসার ৪ লাখ ৪৬ হাজার ও গ্রামপুলিশ ৪১ হাজার। এ ছাড়া ৪১৪ প্লাটুন সেনা, ৪৮ প্লাটুন নৌ-বাহিনীর সদস্য, কোস্টগার্ড ৪২ প্লাটুন, বিজিবি ৯৮৩ প্লাটুন ও র্যাব ৬০০ প্লাটুন ভোটের মাঠে রয়েছে। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা পৌনে ৭ লাখ
সব সংসদীয় আসনের নির্বাচন শেষ করতে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জেলায় সমসংখ্যক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুই বিভাগীয় কমিশনার এ দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সহায়তা করতে ৫৮২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে শুধু ভোটারদের ভোটদানে সহায়তা করার জন্য ৬ লাখ ৬২ হাজার ১১৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৪০১৮৩ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২ জন এবং পোলিং অফিসার ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন।
১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন ভোটার: এবার ১ কোটি ২৩ লাখ নতুন ভোটার। নতুন ভোটারসহ মোট ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন।
২৫,৯০০ দেশি পর্যবেক্ষক
নির্বাচনে ৮১টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। এ ছাড়া বিদেশিদের মধ্যে ফেমবোসা, ওআইসি, কমনওয়েলথ ও অন্যান্য সংস্থার ৩৮ জন, কূটনীতিক ও বিদেশি মিশনের ৬৪ কর্মকর্তা এবং ঢাকাস্থ দূতাবাস/হাইকমিশন বা বিদেশি সংস্থায় কর্মরত ৬১ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।৬টি আসনে ইভিএমে ভোট: যে ৬টি আসনে এবার ইভিএমে ভোট হবে, সেখানে ৮৪৫টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৪৫টি ভোটকক্ষে মোট ২১ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৪ জন ভোটার রয়েছেন। মোট ৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে তারা বেছে নেবেন ছয়জনকে। আসনগুলো হচ্ছে-ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসন। ভোটগ্রহণের পর প্রতিটি কেন্দ্রে গণনা শেষে বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা লিখিত ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। তার আগে প্রতি প্রার্থীর কাছে ফলাফল শীট হস্তান্তর করবেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। ঢাকায় নির্বাচন ভবনের ফোয়ারা প্রাঙ্গণে বিশেষ মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে।
কোন দলের কত প্রার্থী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সব কয়টি দল অংশ নিয়েছে। চূড়ান্তভাবে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার ৩৯ রাজনৈতিক দল থেকে ১ হাজার ৭৩৩ জন এবং বাকি ১২৮ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। নিবন্ধিত দলের মধ্যে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২৯৮ জন প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ২৭২ জন, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ২৮২ জন এবং জাতীয় পার্টি-জাপার লাঙল প্রতীক নিয়ে ১৭৫ জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। ইসি সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগসহ ৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ২৭২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
জোটের প্রধান শরিক দল আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৬০টি আসনে, রাশেদ খান মেননের বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৫টি, হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ৩টি, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ ৩টি এবং বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ১টিসহ মোট ২৭২টি আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বাকি ২৬টি আসন আওয়ামী লীগের শরিক দল জাপাকে ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি দলীয় প্রতীক হাতুড়ি নিয়ে আরো ৩টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মশাল প্রতীকে ৮টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ কুলা প্রতীক নিয়ে ২৩টি এবং বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ফুলের মালা প্রতীকে ১৬টি আসনে জোটের বাইরে নির্বাচন করছেন। জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল)-১১টি আসনে নিজস্ব প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে বিএনপিসহ ৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক ২৮২টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিএনপি এককভাবে (জামায়াতের ২২টিসহ) ২৫৭টি আসনে, কর্নেল অলির লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি থেকে ৪ জন, কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে ৩ জন, আ.স.ম রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি থেকে ৪ জন, আন্দালিব রহমান পার্থের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপি থেকে ১ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে ৩ জন, ড. কামাল হোসেন এর গণফোরাম থেকে ৭ জন, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে ১ জন এবং খেলাফত মজলিশ থেকে ২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বাকি ১৭টি আসনে বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী আদালত কর্তৃক বাতিল হওয়া কোনো প্রার্থী নেই। নির্বাচনে ৮ বিকল্প প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।
এর মধ্যে ৩ জন স্বতন্ত্র ও অন্য ৫টি আসনে দলটির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থী বাতিল হওয়ার কারণে ঢাকা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবুল, সিলেট-২ আসনে মুকাব্বির খান, জয়পুরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেয়া বেগম, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মফিজুল ইসলাম, নীলফামারী-৪ আসনে বেবী নাজনীন, জামালপুর-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, চাঁদপুর-৪ আসনে লায়ন হারুন অর রশীদ। ১টি আসনে কর্নেল অলি কুলা প্রতীকে নির্বাচন করায় সেখানে বিএনপির কোনো প্রার্থী দেয়নি। এছাড়াও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি দলীয় প্রতীক ছাতা নিয়ে আরো ৪ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে গামছা প্রতীকে ৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি তারা প্রতীকে ১৫ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি গরুর গাড়ি প্রতীকে ২ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দলীয় প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে ৫ জন, গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য ২১ জন এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকে ১ জন এবং খেলাফত মজলিশের দেয়ালঘড়ি প্রতীকে ১০ জন প্রার্থী আলাদাভাবে নির্বাচন করছেন।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-(চাকা) ২ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি (কাস্তে) ৭৪ টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ৬টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (কুঁড়ে ঘড়) ৯টি, জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ৯০ টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মই)-৪৪টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ২৪টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) ৪৮টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (আম) ৭৯টি আসনে প্রার্থী রয়েছে। এছাড়াও গণফ্রন্টের (মাছ) ১৩ জন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি (বাঘ) ১৪টি, বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী)-৩ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল)-১১ জন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ১৮ জন, ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) ২৫ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা) ৫ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি) ২৫ জন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (হুক্কা) ৪ জন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল) ২৮ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাতপাঞ্জা) ১ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ২ জন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
