নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: মির্জা ফখরুল

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাড়িতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, কখনো ভাবিনি আমাদের জনগণের ট্যাক্সে যাদের বেতন চলে, যারা প্রশাসনে র‌্যাব, পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীতে কাজ করে তারা একটি অন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বেআইনি কাজ করবে। এটা রাষ্ট্র ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার যে পরিকল্পনা তারা করেছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে মনে রাখতে হবে নির্বাচন ছেলেখেলা নয়। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে স্বৈরাচার টিকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় নেতা নন। একদলীয় সরকার গঠন করার কারণে তিনিও টিকতে পারেননি। এখনো সময় আছে নির্বাচনকে বাতিল করে দেন। আমাদের দাবি, শুধু বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, পাক হানাদার বাহিনী যেভাবে মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, ৩০ ডিসেম্বর দেশের একটি সরকার প্রশাসনকে নিয়ে একই কায়দায় জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটি কোনো নির্বাচন ছিল না, এটি ছিল একদলীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা। গণঐক্যের ডাকে মানুষের সাড়া দেখে তারা ভয় পেল, নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট দিতে না পারে তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল সরকার।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি এত জনপ্রিয় হয়, এত উন্নয়ন করে তাহলে কেন বিরোধী পক্ষকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করতে হবে? সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কোনো গ্রেফতার করবেন না, কিন্তু তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি। নির্বাচনের আগের দিনও গ্রেফতার হয়েছে নেতাকর্মীরা। ২০১০ সাল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে ৯৮ হাজার মামলা ও ২৫ লাখকে আসামি করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক চুট্টু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন হুদনসহ বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তি সংবাদএরশাদ ফের হাসপাতালে
পরবর্তি সংবাদরাজধানীতে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাস থেকে লাফিয়ে পড়েছেন তরুণী