বিএসএফের গুলিতে ফেলানী হত্যার ৮ বছর আজ, ন্যায় বিচার পায়নি পরিবার

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল ফেলানী। ৮ বছর আগে এই দিনেই গুলিবিদ্ধ কিশোরী ফেলানীর লাশ ঝুলে ছিল সীমান্তের কাঁটাতারে।

আজ ৭ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানী হত্যার ৮ বছর পূর্তি। ফেলানী নাগেশ্বরী উপজেলা রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারী গ্রামের নূরল ইসলাম ও জাহানারা বেগম দম্পত্তির প্রথম সন্তান। কুড়িগ্রাম সীমান্তে ঘটে যাওয়া এই হত্যা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও এখনো ন্যায় বিচার পায়নি নিহতের পরিবার।

২০১১ সালের এই দিনে ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ৯৪৭নং আন্তর্জাতিক পিলার ৩নং সাব-পিলারের পাশ দিয়ে মই বেয়ে কাঁটাতার ডিঙ্গিয়ে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে হত্যা করে। কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

পরে বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কড়া প্রতিবাদে বিচারের ব্যবস্থা হলেও বেকসুর খালাস পেয়ে যায় গুলিবর্ষণকারী অমিয় ঘোষ। ফেলানীর পরিবারের আপত্তিতে বিএসএফ মহাপরিচালক রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নতুন করে শুনানি শুরু হয়। কিন্তু পুনর্বিচারে একই আদালত তাদের পুরোনো রায় বহাল রাখে। এ মামলায় দুই দফা কোচবিহারে গিয়ে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। ন্যায় বিচারের জন্য আবারও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেন তিনি।

বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করায় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার আইন সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।

পূর্ববর্তি সংবাদআবারও রাস্তায় উত্তরার পোশাক শ্রমিকরা, সড়ক অবরোধ করে ৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ
পরবর্তি সংবাদবঙ্গভবনে শপথ নিলেন মন্ত্রিপরিষদের ৪৭ সদস্য