মঞ্চে মোদী উঠতেই ঝিমিয়ে গেল তালি!

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: দিল্লির রামলীলা ময়দানে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখে নিরুত্তাপ আচরণ করলো বিজেপি কর্মীরা। তিনি মঞ্চে উঠতেই ঝিমিয়ে গেল তাদের হাততালি। অথচ এর আগের চিত্রটি ছিল পুরোপুরিই উল্টো। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে সে কথাই উঠে এল।

মঞ্চে আসছেন এক-এক জন নেতা। শিবরাজ সিংহ চৌহান এলেন, সামান্য তালি। যোগী আদিত্যনাথ এলেন, তালি আরও বেশি। লালকৃষ্ণ আডবাণী এলেন, তালির গর্জন, সঙ্গে শিস। নরেন্দ্র মোদী এলেন, ঝিমিয়ে গেল তালি। যারা তালি দিচ্ছেন, তাঁরা কিন্তু সকলেই বিজেপির কর্মী। লোকসভা ভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতে হাজার দশেক কর্মীকে গোটা দেশ থেকে আনা হয়েছে দিল্লির রামলীলা ময়দানে।

সকাল থেকে মোদী-মুখোশ পরে ঘুরছিলেন নেতারা। মোদী-জ্যাকেট (যাতে লেখা ‘নমো এগেন’) গায়ে পীযূষ গয়াল, বাবুল সুপ্রিয়েরা। কিন্তু স্বয়ং মোদী এসে যখন হাতে পদ্মফুল নিলেন, কর্মীদের বিশেষ উৎসাহ দেখা গেল না। অমিত শাহকে বলতে হল,‘জানি দিল্লিতে ঠান্ডা পড়েছে, তবু আওয়াজ এত কম কেন?’ প্রদীপ জ্বালাতে যখন আডবাণীর হাত ধরলেন মোদী, আবার তালি পড়ল। তবে অনেকটা জোর করে আদায় করে নিতে হল যেন।

শুধু তাই নয়, মোদীর মুখে ‘ভয়ের’ কথা আগেই এসেছিল, এ বারে লোকসভায় হারের ভয় ঘুরপথে এল অমিতের মুখেও। তাঁর কথায়, লোকসভার লড়াই পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের মতো। ১৩১ বার যুদ্ধ জিতেও যেখানে মারাঠারা হেরে গিয়েছিল। আর সেই হারের ফলে দেশকে ২০০ বছরের গোলামি করতে হয়েছিল। অমিতের আকুল আবেদন,‘২০১৯ সালের ভোটও তেমনই নির্ণায়ক। আর এক বার নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করুন। বুক চিতিয়ে বলুন, মোদী এমন কোনও কাজ করেননি, যাতে দাগ আছে। রাহুল যাই বলুন, চৌকিদারই সব চোরকে ধরবে।’

মঞ্চে অমিত বলছেন, বিজেপি কর্মীরা একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছেন। রাহুল সত্যিই ভয় ধরিয়েছেন মোদী-শাহকে? তা না হলে কেন শুধু তারই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে হচ্ছে নিরন্তর?

অনেকের মতে, ‘ফিকে হওয়া’ ব্র্যান্ড-মোদীকে ঘষেমেজে কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়াই এ দিন লক্ষ্য ছিল অমিতের। কিন্তু তা করতে গিয়ে তিনি বললেন,‘১৯৮৭ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি কখনও হারেননি।’ দলের মধ্যেই উঠল প্রশ্ন, তা হলে এতগুলি ভোটে একটি হারেরও দায় মোদীর নয়?

পূর্ববর্তি সংবাদহবিগঞ্জে গাড়ি চাপায় ২ মোটর সাইকেল আরোহী নিহত
পরবর্তি সংবাদশনিবারও ঢাকার রাস্তায় পোশাক-শ্রমিকরা, লাঠিচার্জ-জলকামান, যান চলাচল বন্ধ বিভিন্ন পথে