ইসলাম টাইমস ডেস্ক: খুলনায় মসজিদের খাদেম মাসুদ গাজী (৪০) হত্যা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এজাহারভুক্ত ৮ আসামির মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বখাটেরা দুই দফায় মাসুদ গাজীর ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর জখম হন। ওইদিন রাতেই তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে রবিবার নিহত মাসুদ গাজীর ভাই ইয়াসিন গাজী বাদী হয়ে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছে নগরীর নাজিরঘাট এলাকার মো. সগির হোসেনের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২১), লবণচরার কৃষ্ণনগর এলাকার জি এম মাহাতাব হোসেনের ছেলে মো. আতিয়ার রহমান আতি (২২), পশ্চিম টুটপাড়ার মৃত সোবহানের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (২২), মিস্ত্রিপাড়া বাজারের মো. আবুল কালাম শেখের ছেলে মো. কাওছার শেখ (২৪), একই এলাকার মো. শাহ আলম আকনের ছেলে মো. সোহাগ আকন (২০), মো. খলিল শেখের ছেলে মো. ইমামুল শেখ ইমাম (১৭) এবং বাগমারা এলাকার মো. নান্না তালুকদারের ছেলে মো. নাজমুল তালুকদার (২২)।
খুলনা থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমাণ্ড মঞ্জুর হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
উল্লেখ্য, খাদেম মাসুদ গাজী গত শনিবার রাতে এশার নামাজ আদায় করে নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদ থেকে বের হয়ে দই কিনে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন।পথিমধ্যে সড়কের পাশে বসে থাকা আসামিদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বখাটেরা তাকে মারধর করে। তিনি আহত হয়ে বাসায় ফিরে যান। বাসায় গিয়ে ঘটনা বলার পর তিনি ভাই ইয়াসিন গাজীকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় বখাটেরা স্থানীয় স্কুল গলির মুখে নিয়ে তার মাথায় মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট দিয়ে আঘাত করে করে। তার ভাই ইয়াসিন গাজী ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
